• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

পুরান ঢাকার ঠিকানায় আর কেমিক্যাল আমদানি নয় : এনবিআর

পুরান ঢাকার ঠিকানায় আর কেমিক্যাল আমদানি নয় : এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া- ফাইল ছবি

 

ঘনবসতি পূর্ণ এলাকা পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল থাকায় দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। সরকার চাইলে পুরান ঢাকার ঠিকানায় সব কেমিক্যাল আমদানি বন্ধ করা যেতে পারে। একইভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের এলসি খোলা বন্ধ করা যায়। তাহলে ব্যবসায়ীরা পুরান ঢাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর সম্মেলন কক্ষে ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে সেরা ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। 

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই এর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, এনবিআর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) শাহনাজ পারভীন প্রমুখ।
 
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালনকালে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের জন্য বিসিকের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জে জমি প্রস্তুত করেছিলাম। যদিও জমি প্রসেস হতে কিছুটা দেরি হয়েছে। তারাও যাওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছেন না। এখন সরকারিভাবে ঘোষণা করতে হবে পুরান ঢাকার ঠিকানায় আর কোনো কেমিক্যাল আমদানি নয়। একই ভাবে ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের এলসি খোলা বন্ধ করতে হবে। তাহলে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হবেন। প্রাণহানি ঘটার সম্ভাবনাও থাকবে না।

তিনি বলেন, এবছর বাজেটের আকার বেশি হওয়ায় আমাদের চ্যালেঞ্জ বেশি ছিলো। পূর্বের তুলনায় এবার আহরণের লক্ষ ছিলো ৪০ শতাংশ বেশি। আমরা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি, গ্রোথ বেড়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের গ্রোথ ছিলো ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত সাত মাসের তুলনায় জানুয়ারিতে গ্রোথ বেড়েছে ১০ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৮ সালের জানুয়ারির তুলনায় ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কাস্টমসে আহরণের গ্রোথ হয়েছে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি, ভ্যাট ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি, ইনকাম ট্যাক্স ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ বেশি। আগামী ৫ মাসে ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা পেলে ভ্যাট বেড়ে আমাদের লক্ষে পৌঁছাতে পারবো।

এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ব্যবসায়ী মহলে ভ্যাট নিয়ে একটা ভীতি আছে, আমরা যেনো মুখোমুখি না দাঁড়াই। আমরা ভ্যাট দিতে চাই। আমাদের দেখতে হবে কিভাবে ইনকাম ট্যাক্স কমানো যায় কিভাবে ভ্যাট নেট বাড়ানো যায়। দেশ গড়তে সবাই মিলে ভ্যাট দেব।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের এগিয়ে যেতে হলে ট্যাক্স দিতে হবে। গত মেলার চেয়ে এবার ৪০ শতাংশ বেশি হয়ে ৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা আদায় হয়েছে। ২০১৮ সালে যেটা ছিলো ৫ কোটি ২১ লাখ টাকা।

যেসব প্রতিষ্ঠানকে সেরা ভ্যাট প্রদানকারীর সম্মাননা দেয়া হয়- হাতিল কমপ্লেক্স, ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড,র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেড, আর এফ এল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, ডিউরেবল প্লাস্টিক লিমিটেড, নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড ও রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

এআই/বিএস