• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ৬, ২০১৯, ০৬:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৭, ২০১৯, ১২:৪০ এএম

রমজানে মাংসের দাম নির্ধারণ

দেশি গরু ৫২৫, বিদেশি গরু ৫০০, খাসি ৭৫০ টাকা

দেশি গরু ৫২৫, বিদেশি গরু ৫০০, খাসি ৭৫০ টাকা
রাজধানীর একটি মাংসের দোকান -ফাইল ছবি

রমজানে রাজধানীতে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসএসসি)। গতবছরের তুলনায় এবার দেশি গরুর মাংসের দাম কেজিতে ৭৫ টাকা, বিদেশি গরুর মাংস ৮০ টাকা, মহিষের মাংস ৬০ টাকা ও খাসির মাংসে ৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে নগর ভবনে মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মেয়র সাঈদ খোকন জানান, এবার রমজানে দেশি গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৫২৫ টাকা, বিদেশি গরুর (বোল্ডার) মাংস ৫০০ টাকায় বিক্রির নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া মহিষের মাংস প্রতিকেজি ৪৮০ টাকা, খাসি ৭৫০ টাকা এবং ভেড়া বা ছাগির মাংস ৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত রমজানে দেশি গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৪৫০ টাকা, বিদেশি গরু (বোল্ডার) মাংস ৪২০ টাকা, মহিষ ৪২০ টাকা ও খাসির মাংসের দাম ৭২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয় ডিএসএসসি।

সাঈদ খোকন বলেন, পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে ডিএসসিসি জনস্বার্থে বেশকিছু কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। এরইমধ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়াবেন না বলে ব্যবসায়ীরা আশ্বস্ত করেছেন।

তিনি বলেন, গত রমজানেও মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। সেখানে শতভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে সেটি বলবো না। কিছু কিছু জায়গায় ৮০ থেকে ৯০ ভাগ প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার তার ব্যত্যয় যেন না ঘটে সেজন্য কঠোর মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি বলেন, ডিএসসিসি সবসময় ব্যবসা-বান্ধব নীতি গ্রহণ করে। সৎ ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে উৎসাহ দেয়। আর যেসব ব্যবসা নাগরিকদের দীর্ঘনাভিশ্বাস আসবে তা করতে দেয়া হবে না। তবে গত রমজানের চেয়ে এবার মাংসের দাম একটু বেশি বলেও তিনি স্বীকার করেছেন।

মাংস ব্যবসায়ীর সমিতির মহাসচিব রবিউল ইসলাম বলেন, মাংস ব্যবসায়ীদের লুটেরাদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একটি গরুর হাটের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল, যা কিনা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। সরকারের দেয়া সুবিধা ভোগ করছেন গাবতলী গরু হাটের ইজাদাররা। মাংস ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সরকার প্রতিটি গরুর হাসিল ১০০ টাকা নির্ধারণ করলেও ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। হাটের ইজারাদারের চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়, যা মাংসের দামের ওপর প্রভাব ফেলে। বারবার অভিযোগ করার পরও উত্তর সিটি করপোরেশন এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই সমস্যার যদি সমাধান করা যায়, তাহলে মাংসের দাম অনেক কম দামে বিক্রি সম্ভব।

মাংস ব্যবসায়ীদের মতামতের ভিত্তিতে সাঈদ খোকন বলেন, রমজানে কোনো ব্যবসায়ী অতিরিক্ত দামে মাংস বিক্রি করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি যথাযথ নজর দেয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া গাবতলী গরুর হাটের অনিয়ম ও চাঁদাবাজি বন্ধে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)-এর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে মাংস ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন মেয়র সাঈদ খোকন। 

অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, অতিরিক্ত প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

টিএইচ/এসএমএম