• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০১৯, ০৫:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৮, ২০১৯, ১১:২৪ পিএম

মানহীন পণ্য অপসারণে বাজারে ভোক্তা অধিদফতরের ৭ দল

মানহীন পণ্য অপসারণে বাজারে ভোক্তা অধিদফতরের ৭ দল

মানহীন ৫২ পণ্যে বাজার থেকে অপসারণের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও দোকানে এ অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ৭টি দল। এগুলোর মধ্যে অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নেতৃত্বে মূল দলটি অভিযান চালায় কারওয়ান বাজার, ধানমণ্ডি এবং নিউমার্কেট এলাকায়। এ সময় অভিযানে আরও ছিলেন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন, আফরোজা রহমান এবং ইন্দ্রাণী রায়সহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা।

ভোক্তা অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত অভিযানে বেশিরভাগ দোকানেই নিষিদ্ধ ঘোষিত ৫২টি পণ্যের কোনটিই পায়নি বাজার মনিটরিং টিম। তবে কারওয়ান বাজার ও নিউমার্কেটের কয়েকটি দোকানে নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা কয়েকটি পণ্য বিক্রির জন্য মজুদ অবস্থায় পায় মনিটরিং দল। এরমধ্যে মোল্লা সল্ট এবং ডুডল ব্র্যান্ডের নুডলস অন্যতম।

এ সময় নিষিদ্ধ পণ্য বিক্রি বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা না মানায় কারওয়ান বাজারের নাসির স্টোরকে ১০ হাজার টাকা এবং নিউ মার্কেটে জব্বার স্টোর ও বিসমিল্লাহ স্টোরকে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের বলেন, বিএসটিআই এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি প্রচার করে এসব পণ্য বিক্রির জন্য নিষেধ করতে বলেছি। এরপরে ব্যবসায়ীদের আর এ সব পণ্য বিক্রির পেছনে কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। আজ (শনিবার) বাজারগুলোতে বেশিরভাগ জায়গায় আমরা এসব পণ্য পাইনি। কিছু জায়গায় পেয়েছি, সেখানে অল্প জরিমানা করেছি।

তিনি বলেন, রোববার (১৯ মে) ব্যবসায়ী নেতাদের সাথে আমাদের কার্যালয়ে একটি সভা হবে। তারপরও যদি এসব পণ্য বিক্রি হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, বিক্রি নিষিদ্ধ পণ্যের বেশিরভাগ পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফেরত নিয়ে গেছে। নিউ মার্কেটের মুদি দোকানি আহমদ আলী বলেন, বেশিরভাগ পণ্যই কোম্পানিগুলো ফেরত নিয়ে গেছে। আমার দোকানে যেটি পাওয়া গেছে সেটি এখনও ফেরত নেয়নি, তাই রয়ে গেছে। কোম্পানিগুলো নিয়ে গেলে তো আর আমরা সেগুলো রাখি না।

যেসব দোকানে এসব নিষিদ্ধ পণ্য পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর কোনটিকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হচ্ছে। আবার কোনটিতে অল্পমাত্রায় আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। তবে রোববার (১৯ মে) থেকে এসব পণ্য বিক্রি করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে বলে জানান ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তারা।

এআই/এসএমএম