• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০১৯, ০৬:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৪, ২০১৯, ০৬:০৩ পিএম

সাধারণ মার্কেটের চেয়ে শপিং মলেই আগ্রহ ক্রেতাদের

সাধারণ মার্কেটের চেয়ে শপিং মলেই আগ্রহ ক্রেতাদের

ঈদুল ফিতরের কেনাকাটায় ঢাকার পুরাতন মার্কেটগুলোর চেয়ে অত্যাধুনিক শপিং কমপ্লেক্সগুলোর দিকেই ক্রেতাদের ঝোঁক বেশি। এজন্য ঢাকার পুরাতন মার্কেটের ব্যবসায়ীদের মুখ অনেকটাই ফ্যাকাশে। শপিং মলের চেয়ে তাদের কাছে দাম কম হওয়ার পরও ক্রেতারা দল বেঁধে ছুটছেন শপিং কমপ্লেক্সগুলোয়। গত কয়েকদিন সরেজমিনে এমন দৃশ্য পাওয়া গেছে ঢাকার বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং কমপ্লেক্স ঘুরে।

শপিং কমপ্লেক্সে কেন ক্রেতা বেশি- প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে জানা গেল- আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পরিবেশ, নিরাপত্তা, এক ছাতার নিচে সব পাওয়া, দরদামের ঝামেলা নেই, মান নিয়ে প্রশ্ন কম ইত্যাদি কারণে শপিং মলগুলোয় ক্রেতাদের মনযোগ বেশি।

৬ বছর হলো নিউ মার্কেট ও গাউসিয়ায় যাওয়া ছেড়েছেন উত্তরার বাসিন্দা গৃহিনী রোখসানা ইয়াসমিন। পান্থপথস্থ বসুন্ধরা সিটি থেকে ঈদ কেনাকাটা সম্পন্ন করলেন এবার। তিনি দৈনিক জাগরণকে বলেন, নিউ মার্কেটে সব আইটেম পেতাম না। ঘুরতে হত বেশি। কয়েকটা মার্কেট ঘুরতে হত। এক মার্কেট থেকে শার্ট প্যান্ট, একটা থেকে শাড়ি, থ্রি-পিস, আরেকটা থেকে জুতো আরেকটা থেকে মেকাপ সামগ্রী। এভাবে বেশ ভোগান্তি হত। বসুন্ধরা সিটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মিত আসি। আগের ভোগান্তি থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছি।

গত ২০ বছরে ঢাকায় বেশকিছু শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বসুন্ধরা সিটি ও যমুনা ফিউচার পার্ক। এমন কোনো সামগ্রী নেই, যা এ দুটিতে পাওয়া যাচ্ছে না। বসুন্ধরা সিটির অবস্থান সোনাগাঁও সিগন্যালের কাছে। যমুনা ফিউচার পার্কের অবস্থান কুড়িল বিশ্বরোডে। সব ধরণের পোশাক-আশাক, জুতো, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, ঘরোয়া জিনিসপত্র, সাজসজ্জা সামগ্রী- সব মিলছে এসব স্থান থেকে।

বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স

এ দুটি ছাড়াও বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ২০টিরও বেশি শপিং কমপ্লেক্স আছে। এর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- কচুক্ষেতের দেশপ্লাজা শপিং কমপ্লেক্স, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউস্থ লায়ন শপিং কমপ্লেক্স, এলিফ্যান্ট রোডের শহীদ জননী জাহানারা ইমাম স্মরণীস্থ ইস্টার্ন মল্লিকা শপিং কমপ্লেক্স, সোনারগাঁও রোডস্থ ইস্টার্ন প্লাজা শপিং কমপ্লেক্স, শান্তিনগরস্থ ইস্টার্ন প্লাস শপিং কমপ্লেক্স, হাতিরঝিল এলাকাস্থ মোল্লা টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুর ১০ নম্বরস্থ মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স, প্রগতি স্মরণীস্থ সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিং কমপ্লেক্স, উত্তরার নর্থ টাওয়ার শপিং মল।

বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী শেখ আমজাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সময়ের সঙ্গে নিউ মার্কেট, গাউছিয়ার মতন মার্কেটগুলো সঙ্গতিপূর্ণ নয়। উন্নত বিশ্বের মতন বাংলাদেশেও হয়েছে শপিং কমপ্লেক্স। সবকিছু এক ভবনে মিলবে। বৃষ্টিবাদলা, রোদ, নিরাপত্তা, পণ্যের মান, দাম নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।

যমুনা ফিউচার পার্ক

একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী কাজী রফিকুল ইসলাম জাগরণকে বলেন, সবাই চায় একটু ভাল পরিবেশে কেনাকাটা করতে। এখনকার মানুষ আগের চেয়ে আরও স্মার্ট ও রুচিশীল। এজন্য শপিং কমপ্লেক্সকে বেছে নেন তারা। নিউ মার্কেট বা গাউছিয়ার মতন মার্কেটগুলো যে খারাপ তা বলছি না। আসলে সেসব মার্কেটে সবকিছু পাওয়া যায় না। একেক আইটেমের জন্য একেক মার্কেটে যেতে হয়। এতে অনেক সময় লাগে, বিরক্ত-ভোগান্তি লাগে।

শপিং কমপ্লেক্সগুলোয় কেনাকাটায় অনেক স্বাচ্ছন্দবোধ কাজ করে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরএম/এসজেড