• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১০, ২০১৯, ০৭:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১০, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

আসন্ন বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে বিমা খাত

আসন্ন বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে বিমা খাত

বিমাকে শক্তিশালী করতে অর্থমন্ত্রীর গুচ্ছ সুপারিশ 

প্রথমবারের মতো ‘লস অব প্রফিট ইন্স্যুরেন্স’ চালুর উদ্যোগ

 আসছে শস্য বিমা, বেকারত্ব বিমা পলিসি

 প্রিমিয়াম হার নির্ধারণে নন ট্যারিফ মার্কেট সৃষ্টি

 অর্থমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ঘুরে দাঁড়াবে বিমা খাত- আইডিআরএ

 

দুদিন পরেই জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে এবারের বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে দেশের অবহেলিত বিমা খাত। বিশেষ উদ্যোগে নেয়া হচ্ছে দেশের বিমা খাতকে আরও সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করতে।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, এবারের বাজেটের আগেই অর্থমন্ত্রী বিমা খাতকে গুরুত্ব দিয়েছেন। আর দেশের জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান বাড়াতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দ্রুত বিকাশমান অর্থনীতির সঙ্গে যতটা বিমা খাতে অবদান প্রয়োজন তা না থাকায় এবার এই উদ্যোগ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আর বিমা খাতের উন্নয়নে দিয়েছেন নানা নির্দেশনা। যা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।  

অর্থমন্ত্রীর সুপারিশগুলো হলো— বিমা কোম্পানিগুলোর যে বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তার (টিওআর) পর্যালোচনা করা। নগদ লেনদেন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিমা দাবি পরিশোধ হচ্ছে কি-না সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা এবং প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নন লাইফের কমিশন কমিয়ে আনার পাশাপাশি প্রিমিয়াম হার নির্ধারণে নন ট্যারিফ মার্কেট সৃষ্টি। হাওর এলাকায় শস্য বিমা চালু করা। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো লস অব প্রফিট ইন্স্যুরেন্স চালু, ডাবল ইন্স্যুরেন্সর প্রচলন। এছাড়া স্বাস্থ্য বিমা প্রচলন, অগ্নি ও ভূমিকম্পসহ বড় ধরনের দূর্যোগে ক্ষয়-ক্ষতি কমিয়ে আনতে বড় ভবনগুলোর বাধ্যতামূলক বিমার আওতায় নিয়ে আসা ও বেকারত্ব বিমা চালুর ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। 

নতুন নতুন পণ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আইডিআরএ’র নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধতন কর্মকর্তা দৈনিক জাগরণকে বলেন, বিমা খাতের উন্নয়নে বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে আইডিআরএ এরইমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের বিমা খাত ঘুরে দাঁড়াবে। পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এই খাতে। 

সূত্র আরও জানায়, এরইমধ্যে সরকারি বড়বড় ভবনগুলোর একটি পরিসংখ্যান ভিত্তিক ডাটা নেয়ার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে আইডিআরএ। ভবনগুলোর বিমা করা আছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া লস অব প্রফিট ইন্স্যুরেন্স চালুর জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিমা প্রডাক্টগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছে সংস্থাটি। শস্য বিমা বিষয়ে সাধারণ বিমা করপোরেশন ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বরাবর তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশে নন ট্যারিফ মার্কেট চালু করা হলে বেশিরভাগ বিমা কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবে না বলে মনে করছে আইডিআরএ। এ জন্য ননলাইফের ট্যারিফ পুনঃপর্যালোচনা করা হচ্ছে।

এর আগে আর্থিক খাতগুলোর সঙ্গে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল লস অব প্রফিট ইন্স্যুরেন্স চালুর করার বিষয়ে মৌখিক নির্দেশনা দেন। এছাড়া বিমা খাতকে আরও শক্তিশালী করতে নতুন নতুন পলিসি চালু করার বিষয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারীকে এসব নির্দেশনা দেন।

এআই/এসএমএম