• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৬, ২০১৯, ০৩:১৫ পিএম

বাজেটে আরও ৫ প্রণোদনার দাবি ডিএসই’র

বাজেটে আরও ৫ প্রণোদনার দাবি ডিএসই’র
প্রস্তাবিত বাজেট বিষয়ক ডিএসই’র সংবাদ সম্মেলন -ছবি : জাগরণ

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব। তবে পুঁজিবাজারকে আরও বেশি স্থিতিশীল ও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বাজেটে আরও ৫ প্রণোদনার দাবি জানিয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

রোরবার (১৬ জুন) ডিএসই’র কনফারেন্স রুমে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন দাবিগুলো তুলে ধরেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কে এ এম মাজেদুর রহমান।

উত্থাপিত ৫ দফা দাবি—

★ এসএমই মার্কেটের লেনদেনের ওপর উৎসে কর অব্যাহতি।

★ স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং প্লাটফর্মের মাধ্যমে ট্রেজারি বিল এবং বন্ডের লেনদেনের ওপর কর অব্যাহতির বিষয়ে সুস্পষ্টকরণ।

★ তালিকাভুক্ত-অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ করা। 

★ ডিমিউচুয়ালাইজেশন পরিবর্তী স্টক এক্সচেঞ্জকে কর অব্যাহতি।

★ স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেক হোল্ডারদের নিকট হতে উৎসে কর সংগ্রহের হার হ্রাস করা।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, বাজেটে যে সব প্রণোদনা হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন সম্ভব। তবে আরও কিছু প্রণোদনা প্রয়োজন।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে সারা বিশ্বে নীতি-সমর্থন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সরকারের যে বলিষ্ঠ ভূমিকা থাকে, ঘোষিত বাজেটে সে ধরনের ভূমিকা রয়েছে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে রুগ্ন কোম্পানিকে ভাল কোম্পানি কর্তৃক একত্রীকরণ/অধিভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজারের গভীরতা বৃদ্ধি পাবে এবং আরও গতিশীল হবে। ঘোষিত বাজেটে নগদ লভ্যাংশের পরিবর্তে বোনাস লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশ হারে করারোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটে রিটেইনড আর্নিংস বা রিজার্ভ যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয় তবে বাড়তি রিজার্ভের ওপর ১৫ শতাংশ হারে করের প্রস্তাব করা হয়েছে । যা কোম্পানিগুলোকে নগদ লভ্যাংশ প্রদানে উৎসাহিত করবে বলে আমরা আশা করছি ।

তিনি আরও বলেন, বাজেটে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার জন্য লভ্যাংশ আয়ের দ্বৈত কর তুলে নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাজারে একটি ইতিবাচক প্রভাব পরবে।

তিনি বলেন, এবারের বাজেটে অপ্রদর্শিত আয় নির্দিষ্ট করে প্রদান সাপেক্ষে বৈধকরণের বিধান রাখা হয়েছে। যা ফ্ল্যাট, জমি কেনা এবং ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করা যাবে। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য কোনও বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়নি। পাচার রোধ করা ও বিনিয়োগের স্বার্থে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনা প্রশ্নে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দেয়া সাপেক্ষে পুঁজিবাজারেও বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

এআই/এসএমএম