• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০১৯, ০৫:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৭, ২০১৯, ০৫:৫০ পিএম

বাজেট বাস্তবায়নে ৩ মাসে একবার সংসদে পর্যালোচনার দাবি

বাজেট বাস্তবায়নে ৩ মাসে একবার সংসদে পর্যালোচনার দাবি
ঘোষিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ইক্যুইটিবিডির সংবাদ সম্মেলন -ছবি : জাগরণ

জাতীয় সংসদে বাজেট বাস্তবায়নে প্রতি তিন মাসে একবার পর্যালোচনা করার দাবি জানিয়েছেন নাগরিক সমাজ, শ্রমিক ও কৃষক সংগঠনসমূহের নেটওয়ার্ক সংগঠন ইক্যুইটিবিডির নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও সকল পর্যায়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল মৌলিক সেবার জবাবদিহিতা ব্যবস্থার পর্যালোচনা ও তা বৃদ্ধির দাবি জানায় তারা। 

সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। ‘আওতা বাড়ালেই কর আদায় নিশ্চিত হবে না: জনগণের মধ্যে করপ্রদানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা জাগ্রত করুন’ শিরোনামে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

তৃণমূল পর্যায়ে গণশুনানি এবং সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সম্পৃক্ততার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, এতে কর প্রদানে জনগণের রাজনৈতিক সদিচ্ছা সৃষ্টির পাশাপাশি সেবা প্রদান পর্যায়ে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। এভাবেই করভিত্তিক রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে এবং তা শেষ পর্যন্ত সরকারের রূপকল্প ২০২১ এবং ২০৪১ বাস্তবায়ন তরান্বিত করবে। পাশাপাশি জাতীয় সংসদে বাজেট বাস্তবায়নে প্রতি ৩ মাসে একবার পর্যালোচনা করতে হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কোস্টের উপ-পরিচালক আহসানুল করিম এবং সঞ্চালনা করেন ইক্যুইটিবিডি চিফ মডারেটর রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ইক্যুইটিবিডির সৈয়দ আমিনুল হক, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ইউনিটির সালাহউদ্দিন বাবলু এবং বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের বদরুল আলম। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোস্ট ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ।

এ সময় দাবি করা হয়, ইউনেস্কো ও ডব্লিউএইচওর মানদণ্ডের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ এখনও অনেক কম, এজন্য তা মানসম্পন্ন পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে। এতে ব্যাংকের ফি পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে হবে এবং সুদের হার এক অঙ্কের ঘরেই সীমাবদ্ধ রাখারও দাবি জানান হয়।

তারা বলেন, দেশ এখনও অবৈধ অর্থ পাচারের শীর্ষে রয়েছে। যেখানে ভারত সম্প্রতি তা অনেক হ্রাস করেছে। এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দেশে বর্তমানে চলমান টাকা পাচার, কালো টাকা, ঋণখেলাপি ও ব্যাংক চার্জের বর্ধিত মাত্রা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এসব সংকট মোকাবেলায় তারা আর্থিক সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অগ্রাধিকার ভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। অভিযোগ গ্রহণ নীতিমালা, সিটিজেন চার্টার ও সরকারি কর্মকর্তাদের আচরণবিধি গ্রহীতা পর্যায়ের জনগণের সামনে প্রকাশ করার মাধ্যমে সরকারের মৌলিক সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের জবাবদিহিতা বৃদ্ধির দাবিও জানান বক্তারা।
 
তারা প্রস্তাব করেন, সংসদ সদস্যগণ তার এলাকায় জনগণের করপ্রদানে রাজনৈতিক সদিচ্ছা বৃদ্ধিতে উম্মুক্ত গণশুনানি আয়োজন করতে পারেন। জনগণের করপ্রদানে অনীহার কারণগুলোও সেখানে তারা শুনতে পাবেন। 


টিএস/ একেএস