• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০১৯, ০৯:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ০১:২৩ এএম

মিনিস্টার হাইটেক পার্কের ভ্যাট সুবিধা বন্ধ হতে পারে

মিনিস্টার হাইটেক পার্কের ভ্যাট সুবিধা বন্ধ হতে পারে

দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে সরকার উৎপাদন পর্যায়ে মিনিস্টার হাইটেক পার্ককে ভ্যালু এডেড ট্যাক্স (ভ্যাট) সুবিধা দিয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সুবিধার অপব্যবহার করেই চলছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর মূসক গোয়েন্দা তদন্ত অধিদপ্তর আকস্মাৎ মিনিস্টার হাইটেক পার্কের কারখানা পরিদর্শন করে এসব অনিয়মের চিত্র পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটির ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বন্ধ করার জন্য এনবিআরের কাছে সুপারিশ করেছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, মিনিস্টার হাইটেক পার্কের বিরুদ্ধে দুই ধরনের অভিযোগ ছিল। প্রথমত. প্রতিষ্ঠানটি সরকারের ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে আর অন্যদিকে এনবিআরের দেয়া ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধার অপব্যবহার করছে। দীর্ঘদিন ধরে এ অনিয়মে ব্যবসা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্ত দল মিনিস্টার হাইটেক পার্কের কারখানায় অভিযান চালায়। সেখানে গিয়ে এয়ার কন্ডিশনার (এসি) তৈরির কোনো সরঞ্জাম পাননি ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্ত দল। পরে বিদেশ থেকে তৈরি করা এসি আমদানি করেই বিক্রি করার প্রমাণ পায় তারা। 

প্রতিষ্ঠানটিকে এসি তৈরির মেশিনারিজ আমদানির জন্য ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হলেও তারা এসির মেশিনারিজ না এনে আমদানি করা পণ্য বিক্রি করছে। এর মাধ্যমে মিনিস্টার হাইটেক পার্ক সরকারের ১১ কোটি ৮৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আরও ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এতে একদিকে সরকারের রাজস্ব সুবিধার অপব্যবহারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে ভ্যাট সুবিধা বাতিলের সুপারিশ করেছে ভ্যাট গেয়েন্দা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএফএম আব্দুল্লাহ খান বলেন, মিনিস্টার হাইটেক পার্কের ভ্যাট সুবিধার অপব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা এ বিষয়ে এনবিআরের কাছে একটি তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়েছি। এছাড়া অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের বিভিন্ন দলিল জব্দ করা হয়েছে।  

সূত্র আরো জানায়, এসি তৈরি ভ্যাট সুবিধা নিয়ে আমদানি পর্যায়ে ২ কোটি ৯৮ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৬ টাকা। আর উৎপাদন পর্যায়ে ১ কোটি ৯৭ লাখ ৫৪ হাজার ৮১২ টাকা ভ্যাট ফাঁকি উদঘাটন করেছে ভ্যাট গেয়েন্দার তদন্ত দল। আর ভ্যাট অব্যাহতি নিয়ে মিনিস্টার হাইটেক পার্কের মোট ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৮১ লাখ ৯১ হাজার ৩৯২ টাকা। এরইমধ্যে ৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে মিনিস্টার হাইটেক পার্ক। আর সুদসহ প্রতিষ্ঠানের কাছে ফাঁকির পাওনা রয়েছে ৮ কোটি ৮১ লাখ ৯১ হাজার ৩৯২ টাকা।

এ বিষয়ে দৈনিক জাগরণের পক্ষ থেকে তার বক্তব্য জানতে চাইলে মিনিস্টার হাইটেক পার্কের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো সাড়া দেননি। 

পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটির ডিরেক্টর ফাইননান্স মো. মজিবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে এই বিষয়ে কোনো মতামত দিতে পারবেন না বলে জানান।

এআই/ টিএফ