• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০১৯, ০৫:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০১৯, ০৫:৩৮ পিএম

সঞ্চয়পত্রের উৎস কর দ্বিগুণ

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন মতিয়া চৌধুরী 

অর্থমন্ত্রীর সমালোচনা করলেন মতিয়া চৌধুরী 
মতিয়া চৌধুরী

প্রস্তাবিত বাজেটে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের মুনাফার টাকার ওপর উৎসে কর দ্বিগুণ করায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাঠোর সমালোচনা করেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। একই সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের উপর সুদ কমানোয় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনা করে এই উৎসে কর প্রত্যাহার করার দাবি জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদের ২০১৯-২০২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি জানান তিনি।

এর আগে বাজেটের বিভিন্ন ভাল দিক তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমি এখন একটা স্পর্শকাতর কথা বলব। সেটা হল এই- গত পাঁচ ছয় বছর এত কথা বলার পরও পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের সুদের উপর সুদ ৯ শতাংশই থাকছে। উনি (অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল) সঞ্চয়পত্রের উপর  ৯ শতাংশ সুদ রাখলেন ঠিকই কিন্তু উৎসে কর ৫ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ করলেন। এই জিনিসটা আমি সমর্থন করতে পারি না। এটা তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্কিম। আর এর উপর নির্ভর কর গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসহায়, অস্বচ্ছল নারীরা। উনি (বর্তমান অর্থমন্ত্রী) কেন ওখানে হাত দিলেন যেখানে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন। যেখানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়াইছেন। যেখানে তাদের গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন– এরকম অনেক সেক্টরে সুবিধা দিয়ে তারপর গিয়ে অসহায় পারিবাহিক সঞ্চয়পত্রে হাত দিলেন। ওরাও তো কনজুমার (ক্রেতা)। কেন সেখানে আপনি হাত দিতে গেলেন? এটা আমি বুঝতে অক্ষম।

তিনি বলেন, আপনি আমার সিলিংও (যত ইচ্ছা কেনা) বাড়াতে দেন না। অন্যদিকে নানানভাবে ব্যবসায়ীদের কালো টাকা সাদা করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বাস্তবতা হল- সেই কালো টাকা আছে, এটাকে কোনো প্রকারে খোয়ারে ঢোকানোর কিছু ব্যবস্থা এই সরকার নিয়েছে- এটা আমরা অস্বীকার করব না। কিন্তু আজকে পরিস্কার বলতে চাই, এই জিনিসটা (সঞ্চয়পত্রের মুনাফার টাকার ওপর উৎস কর) একটু অর্থমন্ত্রী চিন্তা করবেন। এটা আমার বিশেষ আপিল থাকবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

প্রসঙ্গত, প্রস্তাবিত সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকদের মুনাফার টাকার ওপর উৎসে কর দ্বিগুণ করে দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থাৎ আগে উৎসে কর (চূড়ান্ত দায়) দিতে হতো ৫ শতাংশ, এখন দিতে হবে ১০ শতাংশ। এর আগে ২০১৬ সাল পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর কেটে রাখা হতো।

এইচএস/বিএস