• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ০৯:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ০৯:৪৪ এএম

এনবিআরের জব্দ করা স্বর্ণ কর দিয়ে বৈধ করলো আপন জুয়েলার্স

এনবিআরের জব্দ করা স্বর্ণ কর দিয়ে বৈধ করলো আপন জুয়েলার্স

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)- এর কাছে থাকা জব্দ করা স্বর্ণ কর দিয়ে বৈধ করলো আপন জুয়েলার্স। এর আগে অর্থাৎ ২০১৭ সালে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আপন জুয়েলার্সের ৪৯৫ কেজি স্বর্ণ জব্দ করে। এর মধ্য থেকে সামান্য কিছু স্বর্ণ ক্রেতাদের কাছে শুল্ক গোয়েন্দারা ফেরত দিলেও জব্দ স্বর্ণের বড় অংশ তাদের কাছেই ছিল। রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে শুরু হওয়া স্বর্ণ কর মেলায় নির্ধারিত পরিমাণ কর দিয়ে এগুলো বৈধ করা হয়।

শনিবার (২৪ জুন) মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে করের চেক জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআরের) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার হাতে হস্তান্তর করেন আপন জুয়েলার্সের মালিক গুলজার আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দিলদার আহমেদ সেলিম এবং আজাদ আহমেদ।

গুলজার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের অনেক স্বর্ণ জব্দ অবস্থায় আছে। সেগুলোসহ আপন জুয়েলার্সের সব স্বর্ণের ওপর কর দেয়া হয়েছে। এখন কিছু আইনি প্রক্রিয়া আছে। এটি শেষ হলে জব্দ হওয়া স্বর্ণ আমরা ফেরত পাবো।’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাজুসের সভাপতি গঙ্গা চরণ মালাকার, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা এবং গুলজার আহমেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এনবিআর চেয়ারম্যানের হাতে করের চেক হস্তান্তর করেন।

প্রসঙ্গত, মেলায় ভরিতে মাত্র এক হাজার টাকা কর পরিশোধ করে অপ্রদর্শিত স্বর্ণ বৈধ করতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া প্রতি ভরি ডায়মন্ড (হীরা) ৬ হাজার টাকা ও রুপার জন্য ৫০ টাকা করে কর প্রদান করার বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সহযোগীতায় ও এনবিআর আয়োজিত তিনদিনব্যাপী এ মেলা আগামী ২৫ তারিখ পর্যন্ত চললেও সুযোগ থাকছে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। মেলা চলবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

মেলার উদ্বোধনের সময়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের মতো যারা স্বর্ণালংকার রপ্তানির উদ্দেশ্যে কাঁচামাল আমদানি করবে তাদের বন্ড সুবিধা দেয়া হবে। যারা বন্ড সুবিধা পাবেন তাদের আমদানি করা সব স্বর্ণ রপ্তানি করতে হবে। বন্ড সুবিধায় আনা স্বর্ণ খোলাবাজারে বিক্রি করা যাবে না।’

সাধারণ মানুষ বিদেশ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম স্বর্ণ আমদানি করতে পারবেন। এর চেয়ে বেশি আনলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। তবে বিদেশ থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্যে কোন স্বর্ণালংকার আমদানি করার সুযোগ দেয়া হবে না বলেও জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। এছাড়া স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঁচ লাখ টাকা নিতে বলেছি। আর এ লাইসেন্স তিন বছর পরপর নবায়নের জন্য এক লাখ টাকা নেয়ার কথা এনবিআর থেকে বলা হয়েছে। এটিই চূড়ান্ত হবে।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এনবিআরের নিজস্ব ফরম পূরণ করে নির্ধারিত পরিমাণ হীরা, স্বর্ণ এবং রূপার জন্য কর প্রদান করছেন। অনেকে কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিষয়টি বুঝে নিচ্ছেন। কর অঞ্চল অনুযায়ী এনবিআরের বেশ কিছু বুথ রয়েছে। পাশাপাশি সোনালী ও বেসিক ব্যাংকের বুথ রয়েছে। সেখানে কর পরিশোধ করলে সারচার্জ ফ্রি সেবা দেয়া হচ্ছে। 

রোজা জুয়েলার্সের মালিক আবু নাসের মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘বিশেষ ব্যবস্থায় কর দেয়ার একটা ব্যবস্থা হল। তাই প্রক্রিয়াটা আগে বুঝে নিচ্ছি। তারপর ফরম পূরণ করে কর দিব।

এআই/টিএফ