২০৩০ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না, বরং ঋণ দেব। সংসদকে এমন স্বপ্নের কথা জানালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এমন স্বপ্নের কথা জানান।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা বেশি ঋণ করি কি না? আমাদের ঋণের পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশ। মালয়েশিয়ার এর চেয়ে বেশি। ঋণের পরিমাণ হিসাব করা হয় জিডিপি দিয়ে। আমরা ঋণ নিই চীনের কাছ থেকে। ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা আর ঋণ নেব না। আমরা ঋণ দেব, ইনশাল্লাহ। সারা বিশ্বের মানুষকে ঋণ দেব আমরা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এই বাজেটটি শুধু একটি বছরের জন্য নয়। এই বাজেটটির ফাউন্ডেশন এই বছর। কিন্তু এই বাজেটটি থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত অর্জন করতে পারব। সেইভাবে আমরা বাজেটটি প্রণয়ন করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ২০২৪ সালে আমরা ডাবল ডিজিট গ্রোথে পা রাখব। ২০২৪ সাল থেকে শুরু করে ২০৩০ সাল পযন্ত এই বাজেটের ফলাফল পাব।

তিনি বলেন, একটা দেশ এবং জাতির সঙ্গে অনেক মিল আছে। মানুষের জীবনে যেমনিভাবে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় ঠিক তেমনিভাবে দেশের ক্ষেত্রেও সেটা সম্ভব হয়। দেশের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় বলেই আমরা আমাদের এই বাজেটে টাইটেল রেখেছি ‘সময় এবার আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’। এটা ইচ্ছাকৃতভাবে লেখা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কী দেখতে পাই? আমরা যদি মালয়েশিয়ার দিকে তাকাই? ৩০ বছরের মধ্যে মালয়েশিয়া চলে গেছে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে, কাঙ্ক্ষিত জায়গায়। চীনের অবস্থা কী ছিল? চীন সবচেয়ে দরিদ্র দেশ ছিল। চীনে কোনো খাবার ছিল না। চীন আজকে পৃথিবীর এক নম্বর দেশ।

তিনি বলেন, যদি চীন পারে, মালয়েশিয়া পারে, সাউথ কোরিয়া পারে তাহলে বাংলাদেশ অবশ্যই পারবে। গত ১০ বছরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে নিরলস পরিশ্রম করে আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে এসেছি...। ট্রেন একবার যখন ট্র্যাকের উপর উঠে যায় তখন আর ট্রেন পেছনের দিকে যায় না। কোনো জাতি নেই আমাদেরকে এখান থেকে গতিচ্যুত করতে পারবে। আমরা এগোবই, এগোবই ইনশাল্লাহ।

এইচএস/ এফসি