• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০১৯, ০৬:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১০, ২০১৯, ০৬:১৩ পিএম

সংকটে পুঁজিবাজার, হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের

সংকটে পুঁজিবাজার, হতাশা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের

সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে দেশের পুঁজিবাজার। এ কারণে অব্যাহত বড় দরপতন হচ্ছে পুঁজিবাজারে। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বুধবার (১০ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহের চার কার্যদিবসেই দরপতন হলো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৪৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৩০ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৯৮ পয়েন্টে।

সব সূচকের পতনের পাশাপাশি বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৫১ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ২৭৯টি। অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।

এদিকে মূল্য সূচকের পতন ও বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারে ৪০৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫১২ কোটি ৯১ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ১০৪ কোটি ৩ লাখ টাকা।

টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইনস্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপালী ইনস্যুরেন্সের ৯ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ৯ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রানার অটোমোবাইল।

এছাড়া বাজারে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, পাইওনিয়ার ইনস্যুরেন্স, সিঙ্গার বাংলাদেশ, এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ড, ঢাকা ইনস্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স এবং প্রাইম ইনস্যুরেন্স।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩০ পয়েন্টে। বাজারে হাত বদল হওয়া ২৬৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ২০৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দর। লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য বেশকিছু প্রণোদনা দেয়া হলেও বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটে তা খুব একটা কাজ করছে না। এর সঙ্গে সম্প্রতি গ্রামীণফোন ও পিপলস লিজিংয়ের বিষয়ে খারাপ সংবাদ এসেছে। ফলে চতুর্মুখী প্রভাবে বাজারে টানা দরপতন হচ্ছে। 

পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর এক পরিচালক বলেন, বাজারে তারল্য সংকট রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটও আছে। গ্রামীণফোন নিয়ে একটা সমস্যা আছে। ফলে কোম্পানিটির শেয়ার দাম কমে যাচ্ছে। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের বিষয়। এসব কারণেই পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে।বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও তারল্য সংকটের কারণে বাজারে দরপতন হচ্ছে। বাজেটে বাজারের জন্য বেশি কিছু প্রণোদনা দেয়া হলেও তারল্য বাড়েনি। বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট কেটে বাজার ভালো হতে সময় লাগবে।

এআই/ এফসি

আরও পড়ুন