• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৮:৪২ পিএম

ঋণখেলাপি

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার কেন বেআইনি নয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার কেন বেআইনি নয়

ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (বাংলাদেশ ব্যাংক) জারি করা সার্কুলার কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রুল দেয়। ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সার্কুলারটি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত নয়- রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।    

এ মামলার শুনানির জন্য আগামী ৩১ জুলাই পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে বলে জানান রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল। 

ব্যাংক ঋণের বিষয়ে জারি করা রুলের শুনানির নির্ধারিত দিনে এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ হাইকোর্টের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন- অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন- আইনজীবী মুনিরুজ্জামান। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-বিএবি’র পক্ষে ছিলেন- শাহ মঞ্জুরুল হক।
 
অর্থ বিভাগের আবেদনে গত ৮ জুলাই আপিল বিভাগ ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ওপর হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ শর্তসাপেক্ষে দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। আদেশে আপিল বিভাগ বলেন, কোনো ব্যবসায়ী এ সুবিধা নিলে দুই মাসের মধ্যে তিনি আর অন্য কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন না।

সেই সঙ্গে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছিল, তা নিষ্পত্তির জন্য সেদিন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এর আগে গত ২১ মে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই সার্কুলারের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ব্যাংক খাতে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, সুদ মওকুফ সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত ও সুপারিশ প্রণয়নে কমিশন গঠন বিষয়ে যে রুল জারি হয়েছিল সেটি শুনানির জন্য জেবিএম হাসানের আদালতে পাঠিয়েছিলেন আপিল বিভাগ।

তিনি বলেন, সেই রুলটি শুনানির এক পর্যায়ে একটি সম্পূরক রুলের জন্য আরেকটি আবেদন করেছিলাম। আজকে সেটির উপরও শুনানি হয়েছে। শুনানিতে বিবাদি পক্ষের আপত্তির পরও ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত।

তিনি আরও বলেন, এ সার্কুলারটি জারি করা হয়েছিল ব্যাংকিং কমিশন গঠন বিষয়ে আদালতের রুল জারির পর এবং এ সার্কুলারটি ব্যাংকিং কমিশনের সাথে সম্পর্কিত। এ কারণে এটিতে রুল ইস্যু হওয়ার যোগ্য। তাই আদালত ১০ দিনের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


এমএ/টিএফ 
 

আরও পড়ুন