• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০১৯, ০৪:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০১৯, ০৪:৪২ পিএম

‘পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ ট্যাক্স’

‘পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ ট্যাক্স’
সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল - ছবি : জাগরণ

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, পারিবারিক সঞ্চয় পত্রে ৫ লাখ টাকায় ৫ পার্সেন্ট হারে ট্যাক্স দিতে হবে। ৫ লাখের উপরে হলেই দিতে হবে ১০ পার্সেন্ট হারে ট্যাক্স। 

আজ সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সঞ্চয়পত্র ব্যবস্থা আনা হয়েছে। সঞ্চয়পত্রে সুদের ওপর ১০ শতাংশ ট্যাক্স আরোপের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল বাজেটে। এটিকে শিথিল করা হয়েছে। ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যারা সঞ্চয়পত্র কিনবেন তাদের সুদের ওপর ৫ শতাংশ ট্যাক্স দিতে হবে। আর যারা ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনবেন তাদের ট্যাক্স দিতে হবে ১০ শতাংশ।

মোস্তফা কামাল বলেন, নতুন এই ঘোষণা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। এজন্য আলাদা পরিপত্র জারি করা হবে। স্বচ্ছতা আনতেই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ জানা গেছে, একেক জন ধনী ব্যক্তি ২০-৩০টি অ্যাকাউন্টের বিপরীতে সঞ্চয়পত্র কিনছেন। এতে কে কত টাকা বিনিয়োগ করছেন বা সঞ্চয়পত্র কিনছেন সে সম্পর্কে সরকার সব সময় অন্ধকারে থেকে যাচ্ছে। ট্যাক্স আরোপ করার ফলে এই প্রবণতা কমবে এবং অসংলগ্ন লেনদেন হলে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এতে দুর্নীতিও কমবে। তবে পেনশনারদের বিদ্যমান সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে।

মন্ত্রী বলেন, পারিবারিক বা অন্য সঞ্চয়পত্র করা হয়েছিল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য। নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বিনিয়োগের কোনো জায়গা নেই। তাদের টাকা বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে সঞ্চয়পত্র চালু করা হয়েছিল। এটি অর্থনীতির জন্য একটি বড় ক্ষেত্র। কিন্তু সরকারের দেয়া এই সুযোগের অপব্যবহার হচ্ছে। ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বদলে ধনীরা লাভবান হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের আদলে পৃথক বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ চালুর চিন্তা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কাজ চলছে। এটি হলে অর্থ বিনিয়োগের ঝামেলা কমবে।’   

এছাড়া রেমিটেন্সের ওপর প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণাও দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বাজেটে ঘোষণা করেছিলাম রেমিটেন্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনাই দেব। যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে সরকার এ পদক্ষেপ নিয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো সুযোগ নেই। যেহেতু ঘোষণাটি নতুন, তাই সিস্টেমটি চালু করতে পারিনি এখনও। এটি চালু করতে ২-৩ মাস সময় লাগবে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কাজ করছে। কোনো সমস্যা হবে না এ বিষয়ে। ১ জুলাই থেকেই এই ঘোষণা কার্যকর হবে।’

এমএএম / এফসি

আরও পড়ুন