• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৬:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৬:৫৩ পিএম

ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে ২ লাখ ইএফডি আমদানি করবে এনবিআর

ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে ২ লাখ ইএফডি আমদানি করবে এনবিআর
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া - ফাইল ছবি

নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন ও স্বচ্ছতা আনতে ২ লাখ ইলেক্ট্রনিক ফিজিকাল ডিভাইস (ইএফডি) আমদানি করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরইমধ্যে এক লাখ মেশিন আমদানির অনুমোদন হয়েছে। ই-ফাইলে প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করলেই এই আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।
 
বুধবার (৩১ জুলাই) এনবিআরের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য কানন কুমার রায়, কর প্রসাশনের সদস্য কালিপদ হহালদার, মুসক নীতির সদস্য ড. মান্নান শিকদার প্রমুখ।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ই-ফাইলে স্বাক্ষর করলেই আমরা ওয়ার্ক অর্ডার করব। আর আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে ইএফডি সরবরাহ করা যাবে। প্রাথমিক অবস্থায় আমরা ১০ হাজার মেশিনের অর্ডার করব। এই ডিভাইস স্থাপনের পর যদি কোনো অসুবিধা না হয় তবে পরে ধাপে ধাপে অর্ডার করব। এমনও হতে পারে একসঙ্গে এক লাখের মধ্যে বাকি ৯০ হাজার মেশিনের অর্ডার করতে পারি।

করের আওতা বাড়াতে দেশব্যাপী ৬ লাখ ৭২ হাজার নতুন করদাতাকে করনেটের আওতায় আনতে জরিপ শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে মাঠপর্যায়ের কর অঞ্চলগুলো হতে জরিপ কার্যক্রম বাস্তবায়নে অঞ্চলভিত্তিক ২১৩টি জরিপ টিম গঠন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৫টি জরিপ শেষ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অর্থমন্ত্রী ১ কোটি করদাতা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে আয়কর বিভাগ চলতি অর্থবছরে ৫ সদস্যের টিম গঠন করেছে। যেখানে দুই কর্মকর্তা ও ৩ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রাপ্ত জরিপের তথ্যের ভিত্তিতে ৩ লাখ ৩১ হাজার ২৭২ টিআইএন বরাদ্দ করে আয়কর নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এরইমধ্যে জরিপ কার্যক্রমের মাধ্যমে কর মামলা নিষ্পত্তি করে প্রায় ২৮ কোটি ৩৩ লাখ ৭ হাজার ১০৪ টাকা কর আহরণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক নতুন করদাতা সৃষ্টির এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। 

রাজস্ব আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার ৮৯২ দশমিক ৪২ কোটি টাকা কর সংগ্রহ করেছে এনবিআর। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের গড় হার ৭৯.৯৪ শতাংশ। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৭ শতাংশ। বর্তমান সরকারের ১০ বছর সময়কালে রাজস্ব আহরণ ৪ গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আদায়কৃত রাজস্বের মধ্যে আয়করে ৭২ হাজার ৮৯৯ দশমিক ৯০ কোটি, ভ্যাটে ৮৭ হাজার ৬১০ দশমিক ৩৬ কোটি এবং কাস্টমসে ৬৩ হাজার ৩৮২ দশমিক ১৬ কোটি টাকা, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

বন্ড সুবিধা অপব্যবহার রোধে তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে- এমন তথ্য উপস্থাপন করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ফাঁকিবাজ বন্ড প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, আমদানি পর্যায়ে অধিকতর নজরদারি এবং বিক্রি পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযান জোরদার করা হয়েছে। শুল্ক বিষয়ে যথাযথভাবে শুল্কায়ন সম্পন্ন করার জন্য বিশেষভাবে আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভ্যাট ও শুল্ক ফাঁকি রোধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বৃহৎ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন একটি সর্বজনস্বীকৃত চ্যালেঞ্জিং কাজ। একটি করদাতা-বান্ধব এনবিআর তৈরির লক্ষ্যে সকল অংশীজনের সমন্বিত ও পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছি।

এআই/ এফসি

আরও পড়ুন