• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৬:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৮, ২০১৯, ০৬:৫৭ পিএম

কর ফাঁকি রোধে আসছে নতুন মোবাইল অ্যাপ

কর ফাঁকি রোধে আসছে নতুন মোবাইল অ্যাপ
সনদ যাচাই করা যাবে অ্যাপে

কর ফাঁকি রোধে নতুন অ্যাপ আনছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এই অ্যাপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একদিকে কর ফাঁকি কমবে, অপরদিকে বাড়বে করদাতার পরিমাণ। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আয়কর অধ্যাদেশ আইন ১৮৪(সি) উপধারায় কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা সেবাপ্রদানে নিয়োজিত ব্যক্তির কর শনাক্তকরণ নম্বরের (টিআইএন) সনদ নিজ দপ্তরে ঝুলিয়ে রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা করা হয় না। ফলে টিআইএন সনদ সবার আছে কি না সেটা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। এ জন্য এই বিধান পরিবর্তন করে কর পরিশোধ সনদ ঝুলিয়ে রাখার নিয়ম চালুরও চিন্তা করছে এনবিআর। আর সফটওয়্যারের মাধ্যমে আয়কর বিভাগের ৬৪৯টি কর অঞ্চলকে মোবাইল অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এই অ্যাপ ব্যবহার করে যে কেউ অথবা যেকোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা সেবাপ্রদানে নিয়োজিত ব্যক্তির কর পরিশোধ সনদ বৈধ কিংবা কার্যকর বা মেয়াদোত্তীর্ণ কি না তা যাচাই করতে পারবেন মুহূর্তে। এমনকী কার্যকর না হলে এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট করাঞ্চলে অভিযোগও করা যাবে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ক্রেতা যখন কোনো ব্যবসায়ী কর দিয়েছেন কি না সেটা যাচাই করতে যাবেন তখন ব্যবসায়ীরাও কর পরিশোধে সচেষ্ট হবেন। ফলে রাজস্ব আহরণ বাড়বে এবং কর ফাঁকি রোধ সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ইটিআইএনধারীর সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। কিন্তু এর মধ্যে আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) দাখিল করেন মাত্র ২০ লাখ। এটা কখনো আশা করা যায় না। একটি দেশের উন্নয়ন নির্ভর করে সেই দেশের রাজস্ব আহরণের ওপর। তাই রাজস্ব বাড়াতে আমরা এই অ্যাপ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এতে কর ফাঁকি অনেকাংশে কমে আসবে। এ ছাড়া রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যাও বাড়বে।’ এনবিআর আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে করদাতার সংখ্যা ১ কোটিতে উন্নীত করার চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি।

সূত্র আরো জানায়, এনবিআরের এই অ্যাপে শুধু কর পরিশোধ সনদ যাচাইয়ের সুযোগ থাকবে। আর কোনো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে নিয়োজিত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ অন্যান্য পেশায় যারা আছেন তারা নিয়মিত কর পরিশোধ না করলে কর সনদ এমনিতেই বাতিল হয়ে যায়। অকার্যকর সনদ মানেই তিনি কর পরিশোধ করেননি। তাই এর চেয়ে বাড়তি তথ্য অ্যাপে দেয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করছে সংস্থাটি।

এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ওয়েবভিত্তিক নিজস্ব সফটওয়্যার এবং মোবাইল অ্যাপ তৈরির উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তবে এর সুফল অ্যাপটি পুরোপুরি চালু হলে বোঝা যাবে। তারপরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, এনবিআর যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সেটার যেন মিসইউজ না হয়।

এআই/ এফসি

আরও পড়ুন