• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৯:২৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৯:২৫ এএম

৭ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার

৭ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে সাড়ে ১০ বিলিয়ন ডলার


মাত্র সাত মাসে প্রবাসীদের আয় সাড়ে দশ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৫শ’ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১০ হাজার ৫২১ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন ডলার।

প্রবাসে কর্মরত বাংলাদেশিদের অনেকেই ব্যাংকিংখাতের জটিলতার কারণে  ব্যাংক বহির্ভূত ব্যবস্থা বা হুন্ডির মাধ্যমে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠাতো। বর্তমানে অনলাইনসহ ব্যাংকিং মাধ্যমে টাকা পাঠানো সহজ হওয়ায় এখন রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। সরকার প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার ঘোষণায় রেমিট্যান্স প্রবাহ আরো বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনা প্রসঙ্গে অর্থ সচিব বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের উপর ২ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে একটি নিয়ম অনুসরণ করে রেমিট্যান্স পাঠাতে হবে। এককালীন ১৫০০ ডলার পাঠালে কোন প্রশ্ন করা হবে না। এর বেশি রেমিট্যান্স পাঠালেই তাদেরকে নিরীক্ষার আওতায় আসতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ওই বছর বিভিন্ন দেশ থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ১১ হাজার ০০৪ দশমিক ৭৩ মিলিয়ন ডলার। এরপর থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।

মাঝে বিশ্ব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নানা কারণে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা কমেছিল। ২০১৬ সালে রেমিট্যান্স আসে ১৩ হাজার ৬০৯ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার এবং ২০১৭ সালে আসে ১৩ হাজার ৫২৬ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে তা আবার ঘুরে দাঁড়ায়। প্রবাস থেকে রেমিট্যান্স আসে ১৫ হাজার ৫৪৪ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন ডলার।

চলতি ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত সাত মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১০ হাজার ৫২১ দশমিক ৬৯ ডলার। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছর গত বছরের চেয়ে রেমিট্যান্স বেশি আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।

পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। সাত মাসে দেশটি থেকে এসেছে ২ হাজার ১৮ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন ডলার। এরপরেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ দেশটি থেকে এসেছে ১৬২৬ দশমিক ১৯ মিলিয়ন ডলার।

সাত মাসে বাহরাইন থেকে এসেছে ২৭৫.২৮ মিলিয়ন ডলার। কুয়েত থেকে ৯৭৩.৫৬ মিলিয়ন ডলার। ওমান থেকে এসেছে ৬৯০.৬৩ মিলিয়ন ডলার। কাতার থেকে এসেছে ৬৪৭.৬২ মিলিয়ন ডলার। ইতালি থেকে এসেছে ৪৪৭.৩৩ মিলিয়ন ডলার। মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ৭৪৮.৩৬ মিলিয়ন ডলার। সিঙ্গাপুর থেকে ২৩৮.৭৬ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাজ্য থেকে ৭৯৩.৬৮ মিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ১১৩৩.৩১ মিলিয়ন ডলার। জার্মানি থেকে ৪০.৫৪ মিলিয়ন ডলার। জাপান থেকে ৩৫.৪৯ মিলিয়ন ডলার। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ৭৮ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার। অস্টেলিয়া থেকে ৩৮.০৬ মিলিয়ন ডলার। লিবিয়া থেকে ২.৬৮ মিলিয়ন ডলার। ইরান থেকে ০.০৭ মিলিয়ন ডলার। হংকং থেকে ১২.২২ মিলিয়ন ডলার। এবং অন্যান্য দেশ থেকে এসেছে ৭২১.০৮ মিলিয়ন ডলার।

এইচএস/আরআই

আরও পড়ুন