• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০১৯, ০৭:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৮, ২০১৯, ০৭:৩৮ পিএম

গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ আসছে ! 

গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ আসছে ! 

প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আদায়ের তৃতীয় ধাপ হিসেবে স্বনামধন্য মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবিকে লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ দেয়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি। তার আগে প্রক্রিয়ানুযায়ী, কেন লাইসেন্স বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে কারণ দর্শাতে হবে এই দুই অপারেটরকে। আগামী সপ্তাহেই এ চিঠি দেয়া হতে পারে। বিটিআরসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণফোনের কাছে সরকারের পাওনা রয়েছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে পাওনা ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই অর্থ যৌথভাবে পাবে এনবিআর ও বিটিআরসি। এর আগে, বকেয়া পরিশোধ না করায় গ্রামীণফোন (জিপি) ও রবি আজিয়াটার (রবি) ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা কমিয়ে দেয় বিটিআরসি। গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ আর রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কমানোর জন্য আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি পাঠায় সংস্থাটি। গত ৪ জুলাই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। এটি ছিল বকেয়া আদায়ের প্রথম ধাপ। এ নির্দেশনা কার্যকরের পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তিতে পড়েন। বিভিন্ন মহল থেকে ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার অভিযোগ আসে। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকেও গ্রাহক ভোগান্তি ও ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও জানানো হয়।

এ বিষয়ে বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) জাকির হোসেন খান বলেন, দুই অপারেটরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে আমাদের কার্যক্রম চলছে। আশা করছি সবার উপযুক্ত একটি সময়ে আমরা চিঠি দিতে পারব। জানা গেছে, বিদেশ অবস্থানরত বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হকের আগামী সপ্তাহে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। আর তখনই এ নোটিশ দেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ দেয়া হলে অপারেটর দুটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বহির্বিশ্ব ও দেশের পুঁজিবাজারেও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে দুই অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাদের বক্তব্য জানাতে রাজি হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। মন্ত্রী, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে অপারেটর দুটির ব্যান্ডউইথ কমিয়ে রাখার ঘোষণা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। ওই বৈঠকের পরের দিন ১৭ জুলাই বিটিআরসি সংবাদ সম্মেলন করে ব্যান্ডউইথ থেকে ব্লক তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়। তবে বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত অপারেটর দুটিকে কোনও এনওসি দেয়া হবে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এনওসি অর্থাৎ নতুন কোন গ্রাহক সেবা প্রদান বন্ধের ঘোষণা ছিল দ্বিতীয় ধাপ। গত ২৪ জুলাইয়ের বিটিআরসির কমিশন পর্যায়ের এক বৈঠকে বকেয়া আদায়ের তৃতীয় ধাপ অর্থাৎ লাইসেন্স বাতিল সংক্রান্ত নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত হয়। পরে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে কারণ দর্শানোর এই চিঠি দিতে যাচ্ছে বিটিআরসি।

 

এআই/একেএস

আরও পড়ুন