• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯, ১০:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯, ০৮:৪৩ এএম

রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো দ্রুত সমাধান নেই : মল্লক ব্রাউন

রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো দ্রুত সমাধান নেই : মল্লক ব্রাউন
‘জাতিসংঘের জন্য বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতা : অংশীদারিত্বের জন্য একটি প্রাগনোসি ‘ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামে জাতিসংঘের প্রাক্তন উপ-মহাসচিব লর্ড জর্জ মার্ক মল্লাক ব্রাউন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সাবেক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমদ চৌধুরী ও অন্যরা    - ইউএনবি

রোহিঙ্গা সংকটের কোনোও দ্রুত সমাধান নেই উল্লেখ করে জাতিসংঘের প্রাক্তন উপ-মহাসচিব লর্ড জর্জ মার্ক মল্লক ব্রাউন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের উপর এই সমস্যা সমাধানের জন্য চাপ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘের প্রাসঙ্গিকতা : অংশীদারিত্বের জন্য একটি প্রাগনোসিস’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের মূল বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খানের সভাপতিত্বে সিম্পোজিয়ামে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্ট্যাডিজ এর প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।

বক্তব্য রাখছেন জাতিসংঘের প্রাক্তন উপ-মহাসচিব লর্ড জর্জ মার্ক মল্লক ব্রাউন

মল্লক ব্রাউন বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যাটি পরিচালনা করতে বাংলাদেশের ‘ধৈর্য ও মানবতার গভীর গভীরতা’ প্রয়োজন। কারণ এই শরণার্থী জনগণ বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল বোঝা। মিয়ানমারে অনেক রাজনৈতিক পরিবর্তন হওয়া দরকার এবং সেই পরিবর্তনকে সুরক্ষিত করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে। 

বাংলাদেশকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উদ্বাস্তুরা কিন্তু থাকার জন্য আসেনি, এ অবস্থায় থাকতে তারা বাধ্য হয়েছে।

ব্রাউন বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, জাতিসংঘ এখানে হতাশা এবং সমাধানের প্রয়োজনীয়তা বোঝে। আমি মনে করি এ বিষয়টি যেন রাজনৈতিক গুরুত্ব পায় সেজন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে বাংলাদেশের সঙ্গে (জাতিসংঘ) কাজ করতে চায় এবং তাদের সমাধানের দিকে যাওয়া দরকার।

বক্তব্য রাখছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, জাতিসংঘ মুক্তিযুদ্ধের পরের কঠিন সময়ে বাংলাদেশকে প্রচুর পরিমাণে সহায়তা করেছে। এফএও, ডব্লিউএইচওর মতো কিছু সংস্থা রয়েছে যা বাংলাদেশে ভালো কাজ করছে।

আসামের জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) নিয়ে উদ্বেগ সম্পর্কে মান্নান বলেন, ‘এটি এখনও বিকাশমান। আমরা জানি যে, এমন সমস্যা আমাদের প্রভাবিত করতে পারে, তবে কোনো কিছুই অনুমানমূলক হওয়া উচিত নয়। আমি মনে করি, বন্ধুত্ব এই ছোট সময়ের জ্বালা থেকে অনেক বেশি মূল্যবান। 

পররাষ্ট্রসচিব শহিদুল হক বলেন, জাতিসংঘ বাংলাদেশ জন্মের পর থেকেই বহুপক্ষীয়তার পক্ষে বরাবরই বিশাল গুরুত্ব বহন করে আসছে এবং এখনও অব্যাহত রয়েছে। ‘জাতিসংঘ এবং এর অধিভুক্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে আমাদের সুদৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং তাদের জন্য সমর্থন রয়েছে।’

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের প্রাক্তন উপ-মহাসচিব লর্ড জর্জ মার্ক মল্লক ব্রাউনকে ক্রেস্ট উপহার দেয়া হয়

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, একটা সময় ছিল যখন জাতিসংঘে রাষ্ট্রগুলোর সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করতো। ‘তবে আমরা দেখছি যে কয়েক বছর ধরে আমাদের আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে) এর মতো উদ্ভাবন রয়েছে যা স্বাধীনভাবে বিকশিত হয়েছে। আমাদের ডব্লিউটিও রয়েছে যেখানে আমরা সীমান্তের অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে পারি। 

আলোচনায় ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত, শিক্ষাবিদ, আইনজীবী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সুত্র : ইউএনবি

এফসি


 

আরও পড়ুন