• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৮:২১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯, ০৮:২১ এএম

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই বাণিজ্য ঘাটতি ৮ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসেই বাণিজ্য ঘাটতি ৮ হাজার কোটি টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো

আমদানি বাড়লেও সে হিসাবে বাড়ছে না রফতানি আয়। যার কারণে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মাসে জুলাইয়ে বহির্বিশ্বের সঙ্গে পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মাসে ইপিজেডসহ রফতানি খাতে বাংলাদেশ আয় করেছে ৩৪২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর বিপরীতে আমদানি বাবদ ব্যয় করেছে ৪৮০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে জুলাই শেষে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (বিনিময় হার ৮৪ টাকা ৫০ পয়সা দরে) প্রায় ৮ হাজার ২৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ঘাটতির এ অংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময় ছিল ১১৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ঘাটতি কিছুটা কমেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ চলছে। এসব বড় বড় প্রকল্পে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানি করে জোগান দিতে হচ্ছে। এতে আমদানি ব্যয় যেভাবে বেড়েছে সেই হারে রফতানি আয় হয়নি। যার কারণে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

সূত্র আরো জানায়, বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত রয়েছে। যা গত বছরের ঋণাত্মক ছিল। জুলাইয়ে চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ঋণাত্মক ছিল ১৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকার অর্থ হলো নিয়মিত লেনদেনে দেশকে কোনো ঋণ করতে হচ্ছে না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়। সেই হিসাবে উন্নয়নশীল দেশের চলতি হিসাবে উদ্বৃত্ত থাকা ভালো।

আলোচ্য সময়ে সেবাখাতে বেতন-ভাতা বাবদ বিদেশিদের পরিশোধ করা হয়েছে ৮৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর বাংলাদেশ এ খাতে আয় করেছে ৬৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। এ হিসাবে সেবায় বাণিজ্যে দেশে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল (ঘাটতি) ১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। জুলাইয়ে প্রবাসীদের আয় রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। রেমিট্যান্সে ২১ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, আলোচিত সময়ে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে ৩৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার, এর মধ্যে নিট বিদেশি বিনিয়োগ ২১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরের চেয়ে এফডিআই বেড়েছে ৬ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও নিট বেড়েছে ৭ শতাংশ। এদিকে আলোচিত সময়ে এফডিআই বাড়লেও দেশের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাপক হারে কমেছে। অর্থবছরের প্রথম মাসে শেয়ারবাজারে মাত্র ৭০ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। যা তার আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

এআই/বিএস