• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৮:৫২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ০৮:৫৬ এএম

সিআইপি মর্যাদা পেল ১৮২ প্রতিষ্ঠান

সুযোগ-সুবিধায় প্রতিবন্ধকতা দূর করার তাগিদ ব্যবসায়ীদের

সুযোগ-সুবিধায় প্রতিবন্ধকতা দূর করার তাগিদ ব্যবসায়ীদের

সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তিদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানের বিভাগগুলো প্রায়শই হালনাগাদ তালিকা সংরক্ষণ করে না। তাই প্রাপ্য সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এসব প্রতিষ্ঠান ও বিভাগগুলোকে হালনাগাদ তালিকা সংরক্ষণ করার অনুরোধ ব্যবসায়ীদের।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ২০১৭ সালের সিআইপি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে সিআইপি কার্ডপ্রাপ্তরা এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দিন ও এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। অনুষ্ঠানে শিল্প ও রপ্তানিতে অবদান রাখায় ১৮২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সিআইপি কার্ড দেয়া হয়। 

সিআইপি কার্ডপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তিদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সেবার প্রদানকারী সরকারি, আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভাগগুলো প্রায়শই হালনাগাদ তালিকা সংরক্ষণ করে না। তাই প্রাপ্য সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এসব প্রতিষ্ঠান ও বিভাগগুলোকে হালনাগাদ তালিকা সংরক্ষণ করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করছি। বাণিজ্য সম্প্রসারণের সাথে সঙ্গতি রেখে আমাদের বাণিজ্য সহায়ক প্রতিষ্ঠানগুলো কতটুকু দক্ষতার সাথে সেবা দিচ্ছে তা এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে। পাশাপাশি সরকার বাণিজ্য উন্নয়নে বহু নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু তা কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটি পর্যালোচনা করে দেখতে হবে। 

সিআইপি কার্ডপ্রাপ্ত আরেক প্রতিষ্ঠান দাদা ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, যে কোন সম্মাননাই ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করে। সিআইপি কার্ডও তেমনই। এ কার্ডপ্রাপ্তি ব্যবসায়ী হিসেবে গৌরবের। তবে সিআইপির প্রজ্ঞাপনে কার্ডের যেসব সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে তা নিশ্চিত করা গেলে রপ্তানি খাতকে এগিয়ে নিতে আরো উৎসাহিত হবে। 

টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, অবশ্যই সিআইপি কার্ডেল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে কার্ড শুধু কার্ডই থাকবে, কোন কাজে আসবে না। 

প্রসঙ্গত, নীতিমালা অনুযায়ী সিআইপি কার্ডধারীরা ৬ ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়। এগুলো হচ্ছে- সচিবালয়ে ঢুকতে প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার; জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন; বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহরে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকারপ্রাপ্তি; ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসাপ্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে লেটার অব ইন্ট্রোডাকশ ইস্যু করবে; সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন; বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদ ১ বছর। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণের পরামর্শ দিয়ে বলেন, ২০১২ সালে ভেনিজুয়েলার জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে এসে দেশটির করুণ অবস্থা। কারণ দেশটি শুধু একটি পণ্য রফতানি করতো, সেটি হচ্ছে জ্বালানি তেল। তেলের দাম কমায় দেশটিতে এখন দুর্ভিক্ষ চলছে। এই মুহূর্তে মূল্যস্ফীতি ৮০ হাজার পার্সেন্ট। আমাদেরও মোট রপ্তানির ৮৪ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। তাই শুধু পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল না হলে পণ্যের বহুমুখীকরণের দিকে নজর দিতে হবে। 

এআই/টিএফ

আরও পড়ুন