• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, ০৯:০৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, ০৯:২৯ এএম

কমছে পেঁয়াজের দাম

সবজির দাম বাড়ায় অসন্তুষ্ট ক্রেতারা

সবজির দাম বাড়ায় অসন্তুষ্ট ক্রেতারা

হুট করে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয় সরকার। এরই প্রেক্ষিতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাকে করে পেঁয়াজ বিক্রি করায় কিছুটা কমেছে দাম। তবে সবজি ও ব্রয়লার মুরগির দামে নাভিশ্বাস ভোক্তার। বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় পেঁয়াজের দাম প্রায় দশ টাকা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৮-৭০ টাকা কেজি। তবে বড় সাইজের দেশি পেঁয়াজ ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০-৬৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের বিক্রেতা মো. আলী বলেন, গত সপ্তাহ থেকে বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। তবে দুই একদিনের মধ্যে কমে আসবে। কারণ মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ এখনও ঢাকার বাজারে আসে নি। আসলেই দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমবে।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি হালি (৪ পিস) ফার্মের ডিম বিক্রি হয়েছে ৩৮-৪০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ৩৪-৩৫ টাকা।

নয়াবাজারের বাজারে ডিম কিনতে আসা রকিবুল বলেন, এলাকার মুদির দোকানে ডিম কিনতে গিয়ে দেখি দাম বাড়তি। বাজারে একটু কমে পাবো এই আসায় এসে দেখি এখানেও দাম বাড়তি। তিনি বলেন, মাছ-মাংস ও সবজির দাম অনেক। ডিম দিয়ে যে এক বেলা ভাত খাবো তারও উপায় নেই।

বাজারের ডিম বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সপ্তাহ ধরে পাইকারি বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। চাহিদা বেশি। যার কারণে বাড়ছে দাম। বাজার ঘুরে ৫০ টাকার নিচে কোন ধরনের সবজি বিক্রি করতে দেখা যায় নি। 

বিক্রেতারা বলছেন, শীতের আগাম সবজি শিমের কেজি বিক্রি হয়েছে ১০০-১২০ টাকা। তবে একটু বড় আকারের সিম বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকা কেজি। প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। মূলা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। ছোট আকারের লাউ বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা পিস। পাকা টমেটো মান ও আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি, গাজর বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা কেজি, করলার বিক্র হয়েছে ৬০-৭০ টাকা।

নয়াবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আরিফ বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির দাম বেশ চড়া। লাভের আশায় কৃষক শীতের আগাম সবজি চাষ করেছেন। যা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে এ সব সবজি বেশি দাম দিয়ে আনা হয়েছে। বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। গত সপ্তাহে এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকা। যা বৃহস্পতিবার বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৫০ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২২০-২৫০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৫৫০-৫৭০ টাকা ও খাসির মাংস ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. খালেক বলেন, বাজারে একের পর এক পণ্যের দাম বাড়ছে। রান্নায় ব্যবহৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় পেঁয়াজের দাম গত এক সপ্তাহ ধরে বাড়তি। সঙ্গে সবজিতে হাত দেয়া যাচ্ছে না। ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই। এমন ভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।

তবে এ দিন সব ধরনের মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বাজারভেদে এক কেজি ইলিশ ১১০০-১২০০ টাকা, ৯০০ গ্রামের প্রতি পিস ইলিশ ১০০০ টাকা, ৮০০ গ্রামের ৮৫০-৯০০ টাকা, ৭০০ গ্রামের ৭০০-৭৫০ টাকা ও ৫০০ গ্রামের প্রতি পিস ইলিশ ৩০০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যসব মাছ গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৪০-১৫০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০, চাষের রুই ৩৫০-৪০০, পাবদা ৬০০-৭০০, টেংরা ৬০০-৭০০, শিং ৪০০-৫৫০, বোয়াল ৫০০-৭০০, চিংড়ি ৬০০-৮০০ এবং চিতল ৫০০-৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

এআই/টিএফ