• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ১০:৩৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯, ১০:৪৬ এএম

রফতানিতে বিশেষ সুবিধা পেল তৈরি পোশাক খাত 

রফতানিতে বিশেষ সুবিধা পেল তৈরি পোশাক খাত 
একটি তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানা-ইউকিপিডিয়া

দেশের রফতানি খাতকে উৎসাহিত করতে চলতি অর্থবছরে নগদ সহায়তার খাত ও হার বাড়ানো হয়েছে। গত অর্থবছরে ৩৫টি পণ্য খাতে রফতানিতে ভর্তুকি দিয়েছে সরকার। এর সঙ্গে চলতি অর্থবছরে নতুন করে তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেবে সরকার। এছাড়া কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যপ্লায়েন্স পণ্য খাতে রফতানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা পবে। সব মিলিয়ে এবার নগদ সহায়তা পাবে মোট ৩৭টি পণ্য ও খাত।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বৈদেশিক লেনদেনে নিয়োজিত অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে। রফতানি খাতকে উৎসাহিত করতে তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্যের ওপর অনেক আগে থেকে নগদ সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। গত অর্থবছরে ৯টি পণ্য ও খাত নগদ সহায়তার আওতাভুক্ত করা হয়েছিল। তার আগের অর্থবছরে পাঁচটি খাতকে আওতাভুক্ত করা হয়।

সব মিলে নগদ সহায়তার পণ্য ও খাত দাঁড়াল এখন ৩৭টি। এতে বলা হয়েছে, দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইইউ ছাড়া নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতে রফতানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ অব্যাহত থাকবে। এসব সুবিধার বাইরে এবার তৈরি পোশাক খাতে যেসব রফতানিকারক কোনও নগদ সহায়তা পান না, তাদের জন্য ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

চামড়াজাত পণ্য, ফার্নিচার, জাহাজ, প্লাস্টিক পণ্য, পেট বোতল-ফ্লেক্স হতে উৎপাদিত পলিইয়েস্টার স্টাপল ফাইবার, শস্য ও শাকসবজির বীজ, পাটকাঠি থেকে উৎপাদিত কার্বন, পাটজাত পণ্য, আলু, সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার, দেশে উৎপাদিত কাগজ ও কাগজজাতীয় দ্রব্য, আগর ও আতর, কৃষিপণ্য, গরু-মহিষের নাড়ি-ভুঁড়ি, শিং ও রগ (হাড় ছাড়া), হালকা প্রকৌশল পণ্য, হালাল মাংস, হিমায়িত চিংড়ি, একটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডাইয়েন্টস (এপিআই), সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি, সিনথেটিক, ফেব্রিকস ও মাছ রফতানিতে আগের মতোই নগদ সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

হোগলা, খড়, আঁখের ছোবড়া, গাছের পাতা, খোল ও গার্মেন্টসের ঝুট দিয়ে উৎপাদিত পণ্যে নগদ সহায়তা ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। আর পেট বোটল ফ্লেক্স রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে।

গত অর্থবছরে যে ৯টি খাত ও পণ্য নগদ সহায়তার আওতাভুক্ত করা হয় সেগুলো হলো- ওষুধ পণ্য, মোটরসাইকেল, সিরামিক দ্রব্য, রেজার ও রেজার ব্লেডস, ফটোভোলটাইক মডিউল, কেমিক্যাল পণ্য (ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক এসিড, কস্টিক সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড), টুপি, কাঁকড়া ও কুঁচে (হিমায়িত ও সফটসেল, পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র গ্রহণ সাপেক্ষে) এবং গলিত শিট। এসব খাতেও নগদ সহায়তা আগের মতোই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

এআই/এসএমএম

আরও পড়ুন