• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০২:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯, ০৩:৩৭ পিএম

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি পেল ২ হাজার শিক্ষার্থী

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি পেল ২ হাজার শিক্ষার্থী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বক্তব্য রাখছেন- ছবি: জাগরণ

এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ২ হাজার ৩৮ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি দিয়েছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তিপত্র দেয় ডাচ বাংলা ব্যাংক। অনুষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামীতে দেশ গড়ায় অর্থনীতিসহ বিভিন্ন খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০৪১ সালে উন্নত দেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সরকারের পক্ষে একাই সবকিছু করা সম্ভব নয়। এজন্য বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে।

সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ করেছে। দুর্নীতি বর্তমানে বড় সমস্যা এর মাধ্যমে সামাজিক বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। শিক্ষিত লোকের মাধ্যমে বেশি অপরাধ হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের মাদক ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে। তাহলেই দেশের দুর্নীতি কমে আসবে।

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ধারাবাহিক সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজের প্রশংসা করে, বৃত্তি প্রকল্পকে দেশের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে আর্থিক খাতের অনন্য দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। দেশের অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের কল্যাণে এ ধরনের কর্মসূচি নেবেন বলে তিনি আশা করেন।

সুবিধাবঞ্চিত ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গঠনে এই অনন্য চেষ্টার জন্য ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রশংসা করেন গভর্নর ফজলে কবির। এই উদ্যোগ দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও তিনি আশা করেন।

সায়েম আহমেদ বলেন, ডাচ-বাংলা ব্যাংক যখন দেখল অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষা ক্ষেত্রে সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তখনই ব্যাংক এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করে। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও আর্থিক সংকটের জন্য মেধাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছেনা তারা।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদেরকে মাসিক ভিত্তিতে সাড়ে ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। ডাচ-বাংলা ব্যাংক এই শিক্ষা বৃত্তির শতকরা ৯০ ভাগ দেয়া হয় গ্রামাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের, এর মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগই দেয়া হয় ছাত্রীদেরকে। সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী ও অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি দেয়া হয়েছে।

এআই/টিএফ

আরও পড়ুন