• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৩:১৯ পিএম

৭০ ভাগ প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হয় না: পরিকল্পনামন্ত্রী

৭০ ভাগ প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হয় না: পরিকল্পনামন্ত্রী
বক্তব্য দিচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান- ছবি: সংগৃহীত

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর ফয়জুল্লাহ জানিয়েছেন, ৭০ ভাগ প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন হয় না। আইএমইডি সচিবের কথার জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা ব্যথা পাই, যখন শুনি ৭০ ভাগ প্রকল্প যথাসময়ে শেষ হয় না। এটা আমাদের জন্য ভয়ঙ্কর অগ্রহণযোগ্য বিষয়।’

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘অ্যাসেসমেন্ট অব বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। বিশ্ব ব্যাংক এ কর্মশালার আয়োজক।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রফেশনাল নই, রাজনীতি করি। আমরা বরাদ্দ দিই, পাস করে দিই। আপনারা যারা কাজ করেন। আপনাদের গাড়ির প্রয়োজন, বাসার প্রয়োজন, সেটা জনগণের অর্থ দিয়ে আমরা করে দিই। এর বিনিময়ে আমরা যখন কাজ পাই না, তখন ব্যথা পাই। জনগণের সামনে আপনাদের হয়তো মুখোমুখি হতে হয় না। কিন্তু আমাদের প্রতিনিয়িত মুখোমুখি হতে হয়।’

সুশীল সমাজ, সচেতন মানুষ প্রতিনিয়তই বাড়ছে উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, ‘সরকারি প্রকল্প কাজে কোনো লুকোচুরি করবেন না। সরকার চাইবে, সরকারের প্রতিটি কাজ জনগণের নজরে আসুক এবং জনগণ সেগুলো পরীক্ষা করুক।’

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কাজে স্বচ্ছতা আনা হবে বলে আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যারা আছেন, তারা হয়তো বুঝতে পেরেছেন। প্রতিটি কাজে জনগণ, সরকারের সৃষ্ট নিয়মকানুনকে প্রতিপালন করে, খোলামেলা পরিবেশে, সবার এক্সেসের মধ্যে সম্পূর্ণ করব। যার ফলে নেতিবাচক যে ধারণা আছে, সময়মতো কাজ হয় না, ডিলেমি হয়, দুর্নীতি হয়– সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে দূর করতে পারব।’

আইএমইডির সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমার অনুরোধ থাকবে, প্রতিটি কাগজ যথাযথভাবে দেখবেন। আমরা চেষ্টা করব বা দেখব, যে অভিযোগটা আসল সেটা যেন তলিয়ে গিয়ে মনোযোগের সঙ্গে দেখি। সেটা যেন সমাধানের চেষ্টা করি।’

এর ফলে শুধু প্রবৃদ্ধি নয়, একটা উন্নত পরিবেশ গড়ে তোলা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ, সুশাসন সৃষ্টির সহায়ক হবে বলেও মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মারসি মিয়াং টেমবন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর ফয়জুল্লাহ, বিশ্ব ব্যাংকের প্রধান প্রকিউরমেন্ট কনসালটেন্ট পিটার আরমিন ট্রেপটি, জ্যেষ্ঠ প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ইশতিয়াক সিদ্দিকসহ সংশ্লিষ্টরা।

এআই/টিএফ

আরও পড়ুন