• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০১৯, ০৬:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৯, ২০১৯, ০৬:৩৯ পিএম

বুলবুলের প্রভাব 

পশ্চিমবঙ্গে ভোররাত থেকে ঝড়বৃষ্টি, বন্ধ কলকাতা বিমানবন্দর

পশ্চিমবঙ্গে ভোররাত থেকে ঝড়বৃষ্টি, বন্ধ কলকাতা বিমানবন্দর

প্রথমে বলা হচ্ছিল সোমবার, তারপরে ইঙ্গিত এলো রোববার দুপুরের আগে। শেষ পর্যন্ত খবর, শনিবার মধ্যরাতেই বাংলাদেশের সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড়। আর শনিবার (৯ নভেম্বর) ভোর রাত থেকেই বুলবুলের প্রভাব পড়েছে গোটা কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ প্রান্তে। বুলবুল আছড়ে পড়ার আগেই শুরু হয়ে গেছে লাগাতার তুমুল বৃষ্টি। শনিবার সকাল থেকে বাতিল করা হয়েছে ২৩টি ফ্লাইট। সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। মোতায়েন করা হয়েছে নৌসেনার এয়ারক্র্যাফ্ট।

ভোর থেকেই ঝোড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বিচ্ছিন্নভাবে লাগাতার বৃষ্টি হয়ে চলেছে। আবহাওয়া দফতর থেকে শনিবার সকালের বুলেটিনে জানানো হয়েছে ৬ ঘণ্টায় ১৭ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। দুই ২৪ পরগনা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষকে। প্রশাসনের সদর দফতর নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। গতকাল গভীর রাতেও অতি গভীর এই ঘূর্ণিঝড় ছিল ২৭০ কিলোমিটার দূরে। এই খবর লেখা পর্যন্ত সুন্দরবন উপকূল থেকে বুলবুল রয়েছে ১৩৫ কিলোমিটার দূরে।

শক্তি বেড়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কিছুটা আগেই উপকূলে চলে আসছে। শনিবার সকালে শক্তি বাড়ালেও যত সময় যাবে বুলবুল তত শক্তি হারাতে থাকবে বলে আবহাওয়া দফতরের খবর। তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বুলবুল আছড়ে পড়তে চলেছে সুন্দরবনে। সুন্দরবন এলাকায় বাড়তি নজর থাকলেও, সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে দিঘা থেকে কলকাতা সর্বত্র।

একদিকে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ, অন্যদিকে বাংলাদেশের খেপুপাড়া। এর মধ্য দিয়েই বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভাগে ঢুকবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঝড় আছড়ে পড়ার সময় গতি থাকবে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। তবে আছড়ে পড়ার আগে গতি আরো কমতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। 
দুর্যোগ মোকাবিলায় শুক্রবার থেকেই তুমুল তৎপরতা শুরু হয়েছে সাগরদ্বীপ, কাকদ্বীপ ও নামখানায়। সতর্ক করা হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের। সমানে চলছে মাইকিং। মৎস্যজীবীদের দ্রুত ঘরে ফেরানোর কাজ চলছে। সমুদ্রে যাওয়ার ওপর জারি করা হয়েছে সতর্কতা। বহু মানুষকেই এরইমধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, এমনকী কলকাতায়ও। জোয়ারের পানির চেয়ে ১ থেকে ২ মিটার বেশি উঁচুতে পৌঁছতে পারে জলোচ্ছ্বাস। ২০০৯ সালে আইলার ভয়াবহতা বাড়িয়ে তুলেছিল ভরা কোটাল। এবারও কোটাল গতি পাওয়ার সময়ই আসছে ঘূর্ণিঝড়। আর কয়েকদিন পরে রাস পূর্ণিমা। শনিবার দ্বাদশী, রাত ৮টা নাগাদ ভরপুর জোয়ারও থাকবে সুন্দরবনের নদীগুলোয়। বুলবুলের গতিবিধির ওপর নজর রাখছে ওড়িশার পারাদ্বীপ ও গোপালপুরের ডপলার ওয়েদার র‍্যাডার।

ঝড়ের কারণে এদিন সকাল থেকে ২৩টি ফ্লাইট বাতিল করেছে ইন্ডিগো বিমান সংস্থা। যে বিমানগুলো সকাল ১১টার পর থেকে রাঁচি, পাটনা, দিল্লি, চেন্নাই, মুম্বই, পুনে-সহ আরও একাধিক জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল, সেগুলো সব বাতিল করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলী এবং নদীয়ায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলছে।

এফসি

আরও পড়ুন