• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৯:০৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৬, ২০১৯, ০৯:১৬ এএম

পেঁয়াজের সিন্ডিকেট সদস্যদের শনাক্তে মাঠে গোয়েন্দা

পেঁয়াজের সিন্ডিকেট সদস্যদের শনাক্তে মাঠে গোয়েন্দা

পেঁয়াজের সিন্ডিকেটের সদস্যদের চিহ্নিতকরণে কাজ শুরু করে দিয়েছে একাধিক গোয়েন্দা দল। বাণিজ্য, কৃষি, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সমন্বয়ে গঠিত এসব গোয়েন্দা দল এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সিন্ডিকেটের সদস্যদের খোঁজে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, ভোক্তা অধিকারের পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলকে মাঠে নামানো হয়েছে। তারা রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শ্যামবাজার, কাপ্তান বাজারসহ একাধিক বাজারে নজর রাখছেন। আরেকটি দল নজর রাখছেন চট্টগ্রামের চাকতাই ও খাতুনগঞ্জে। খুব শিগগিরই সিন্ডিকেটের সদস্যদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা করছেন। 

সূত্র জানায়, পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের আড়তে অভিযান চালায় বাণিজ্য, কৃষি, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সমন্বয়ে গঠিত একটি দল। এ দলে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ছিলেন ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল। দৈনিক জাগরণকে তিনি জানান, অভিযানে তারা বিভিন্ন দোকানে পেঁয়াজের বিপুল মজুত দেখেছেন। কিন্তু দাম কমাচ্ছে না তারা। সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজের দামের বাড়ানো হচ্ছে। যাদের কারণে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। সিন্ডিকেট চিহ্নিত হলে অবশ্যই তারা সাজা পাবে।

সংশ্লিষ্ট মহলের মন্তব্য, পাইকারি ও খুচরা বাজার কোথাও ঘাটতি নেই।আমদানি অব্যাহত রয়েছে। চাহিদা মাফিক পেঁয়াজ থাকার পরেও কেন দাম বেড়েই চলেছে। নেপথ্যে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট রয়েছে কিনা, কারা কলকাঠি নাড়ছেন তা খুঁজে বের করা উচিত।

তারা বলছেন, বাজারে নেই সরকারি তত্ত্বাবধান। যে কারণে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থির করে রেখেছে। আর তাদের মাত্রাতিরিক্ত লাভ-লোভের মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। ঢাকাসহ দেশের বড় বাজারগুলোতে দৃশ্যত সঠিক মনিটরিংয়ের অভাব রয়েছে। ভারত হঠাৎ পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও দূরদৃষ্টির পরিচয় দিতে পারেনি। বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার কার্যকর কোনও কৌশলই নিতে পারেনি তারা। এর মধ্যে মন্ত্রীদের সবকিছু সহজে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক দেখানোর প্রচেষ্টাও ব্যবসায়ীদের করেছে আরও দুর্বিনীত।

শ্যামবাজার পেঁয়াজ-রসুন সমিতির প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দৈনিক জাগরণকে বলেন, ৭৮টি পেঁয়াজের আড়তের মধ্যে কেবল আটটি আড়তে পেঁয়াজ রয়েছে। দেশের বাজারে প্রতিদিন চাহিদা কমপক্ষে ২০০ ট্রাকের। আসে মাত্র ১০০-১২৫ ট্রাক। ঘাটতি থাকে ৭০-৮০ ট্রাক পেঁয়াজ। প্রতি ট্রাকে সাধারণত ১৫ টন পেঁয়াজ আসে।

তিনি বলেন, টিসিবি ইচ্ছা করলে আমদানি করতে পারে। এতে দাম কমত। এখন শুধু বেসরকারিভাবে আমদানি করা হচ্ছে।

এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, গত সেপ্টেম্বরে যখন ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় সঙ্গে সঙ্গে আমরা সরকারকে বললাম, সরকারি ও বেসরকারিভাবে আমদানি এখনই করতে হবে। নতুবা ব্যাপক ঘাটতি দেখা দেবে। সরকার আমাদের কথায় গুরুত্ব দেয়নি। তার ফল ভোগ করছে সাধারণ ভোক্তা। 

 এইচএম/এসএমএম

আরও পড়ুন