• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ০১:৩৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০১৯, ০১:৩৬ পিএম

২ দিনের ব্যবধানে ৯ হাজার টাকার পেঁয়াজ ৪ হাজার 

২ দিনের ব্যবধানে ৯ হাজার টাকার পেঁয়াজ ৪ হাজার 

রোববার (১৭ নভেম্বর) ঝিনাইদহের বিভিন্ন হাটে-বাজারে প্রতি মণ পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার টাকা থেকে ৯ হাজার ৩শ টাকায়। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) জেলার সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের হাট বলে খ্যাত শৈলকুপায় তা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা মণ দরে। একইসঙ্গে খুচরা বাজারেও এ প্রতিফলন ঘটেছে।

বাজার পরিদর্শনকালে পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, গত কয়েকদিন আগে বাজারেও পেঁয়াজের যে চাহিদা ছিল, তা অনেকটা কমে গেছে। ক্রেতারা লাইন দিয়ে আর তা কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। বরং বিক্রেতারাই তাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।

চাষি বলে পরিচয়দানকারী এক পেঁয়াজ বিক্রেতা জানালেন, গত শনিবার সাপ্তাহিক হাটের দিন তিনি ৯ হাজার টাকা  দরে ৩ মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আরও বেশি দাম পাবার আশায় তিনি মঙ্গলবার ৫ মণ পেঁয়াজ বাজারে এনে অর্ধ্বেক দামও পাচ্ছেন না। 

নাটোরের গুরুদাসপুর ও রাজশাহীর তানোর থেকে পেঁয়াজ কিনতে এসেছেন নবী নেওয়াজ ও আলী হোসেন। তারা জানালেন, অর্ধ্বেকেরও কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হওয়ায় তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না আজ কিনবেন কী না। কেননা, বর্তমান দামে কিনে আবার দাম পড়ে গেলে তাদের পুঁজিই নষ্ট হয়ে যাবার ভয় রয়েছে।

খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আলিম উদ্দিন জানালেন, গত হাটের দিন ৯ হাজার টাকা মণ দরে পেঁয়াজ কিনে তিনি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা থেকে ২৬০ টাকায় বেচেছেন। আজ তা ৪ হাজার টাকায় কিনে প্রতি কেজি ১৩০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি করেছেন।

খুচরা পেঁয়াজ কিনতে বাজারে আসা মনিশংকর ও অব্দুস সোবহান জানালেন, ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে তারা আঁকাশ ছোঁয়া দামে পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। যখনই সরকার বাইরে থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছে, ঠিক তখনই কোন নোটিশ ছাড়াই দাম পড়ে গেলে নাটকীয়ভাবে। আমদানিকৃত পেঁয়াজ বাজারে আসলে ব্যবসায়ীদের কারসাজি কমে যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে অসাধু ব্যবসায়ী ও মজুদদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়া হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য পণ্যের বেলায়ও তারা করসাজি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন ওই দুই সাধারণ ক্রেতা।

কেএসটি

আরও পড়ুন