• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৯:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ০৯:১৩ পিএম

গুজব ঠেকাতে লবণ উৎপাদন দ্বিগুণ

গুজব ঠেকাতে লবণ উৎপাদন দ্বিগুণ
চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি লবণ ঘের-ফাইল ছবি

গুজব ঠেকাতে লবণ উৎপাদন দ্বিগুণ করেছে চট্টগ্রামের মিল মালিকরা। আগে যেখানে প্রতিদিন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দেড়শ মিলে ৬ হাজার মেট্রিকটন হতো সেখানে গেল ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার মেট্রিক টনের বেশি উৎপাদন হয়েছে।

মিলগুলোতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ।

দেশে মাসে লবণের চাহিদা দেড় লাখ মেট্রিক টন। সে অনুযায়ী নগরীর মাঝিরঘাটের ৩০টি, পটিয়া ইন্দ্রপোলের ৪০টি এবং কক্সবাজারের ইসলামপুরে ৫০টির বেশি মিলে প্রতিদিন ৬ হাজার মেট্রিক টন করে লবণ রিফাইন্ড করা হয়।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া গুজব ঠেকাতে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর থেকে উৎপাদন বাড়িয়ে দেন মিল মালিকেরা। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে উৎপাদন দ্বিগুণ করা হয়।

মিলমালিকরা বলেন, আগের চেয়ে দ্বিগুণ উৎপাদন করা হয়েছে যাতে ক্রাইসিস সৃষ্টি না হয়। যে যেখান থেকে চাইছে, আমরা আগের মূল্যেই সরবরাহ করছি।

একাধিক মালিক বলেন, এখন যে লবণগুলো আছে সেগুলোই তো ঠিকমতো বিক্রি হয় নি।

স্বাভাবিক সময়ে টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা থেকে ক্রুড সল্টবাহী ২০ থেকে ২২টি ট্রলার আসলেও বুধবার এসেছে ৩০টি। দামও ছিল আগের মতো।

ক্রুড সল্ট বিক্রেতারা বলেন, গুজব ছড়িয়ে লবণের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আগে যে দামে বিক্রি করেছি, এখনও তো তাই করছি।

মিল মালিকেরা যাতে উৎপাদনে কোনও ঘাটতি না রাখে তার তদারকি শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

সদরঘাট সিএমপির ওসি ফজলুল কাদের ফারুকী গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ তৎপর রয়েছে। মিল মালিকদের সাথে কথা বলে এসেছি। তারা বলেছেন সব স্বাভাবিক আছে।

চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৭৪ কেজির প্রতি বস্তা লবণ বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসএমএম

আরও পড়ুন