• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০১৯, ০৫:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৩, ২০১৯, ০৫:৫৪ পিএম

৪০ দিনের মধ্যে এক লাখ টন পেঁয়াজ : বাণিজ্যমন্ত্রী

৪০ দিনের মধ্যে এক লাখ টন পেঁয়াজ : বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি- ছবি: জাগরণ

সংকট সমাধানের প্রয়োজনে আগামী ৪০ দিনের মধ্যে এক লাখ টন পেঁয়াজ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে আমদানি করার কথা জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে পেয়াজ সংকট সমাধানে আগামী তিন বছরের মধ্যে এই পণ্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল হতে সরকার কাজ করছে।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ফারস হোটেলে ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে ব্যবসায়ী সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এই কথা জানান মন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গী কবির নানক।

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন , ক্রাইসিস আমাদের আছে। তবে এই ক্রাইসিস সবসময় থাকবে না। পেঁয়াজ ডাবল-ট্রিপল দামে কিনে আমরা মরে যাবো না। আমাদের শিক্ষা হয়েছে। কথায় আছে, কখনো কখনো বিপদ সম্পদে রুপান্তর হয়। ক্রাইসিস আমরা ফেস করবো, ওভারকামও করবো। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৬ দিন ধরে ইজিপ্ট ও তার্কি থেকে পেঁয়াজ ঢুকতে শুরু করেছে। সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ-তারা বলেছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টন মাল দেবে। সবচেয়ে আনন্দের কথা তারা বলেছে, তারা এক টাকাও লাভ করবে না। যত কোটি টাকা লাগে ইনভেস্ট করবে। গত ৩ দিন ধরে তারা টিসিবিকে যা দিয়েছে সেটা সর্বমূল্যে খরচ পড়েছে সাড়ে ৪২ টাকা। সেই দামের কাগজ পর্যন্ত দিয়ে দিয়েছে। তবে সমস্যাটা হয়েছে এতটুকুই যথেষ্ট নয় আমাদের বাজারে দেয়ার জন্য। আমাদের আরো পেঁয়াজ দরকার।’

ন্যায্য লাভ রেখে বাজারে পেয়াজ ছাড়তে ব্যবসায়ীদের মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘সিটি বা মেঘনা গ্রুপ যে পেঁয়াজ দিচ্ছে, এর বাইরেও কিছু কিছু পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ঢুকছে। তার মূল্যও কিন্তু কোনো অবস্থায় ৪০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তারা বিক্রি করছে বেশি দামে। আপনাদের সেই মানবিক মূল্যবোধটা কোথায়?’ 

পেয়াজ উৎপাদনে ভবিষ্যতে কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেজন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবার যখন পেঁয়াজ উঠবে আমি কোনো ধরনের আমদানি করতে দেবো না। প্রয়োজনে আমরা ভারতে রপ্তানি করবো।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর যখন ভারত পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলো সেদিন সন্ধ্যার সময়ে ঢাকার বাজারে পেয়াজের দাম বাড়ার কথা নয়। পেয়াজ তো তখন স্টকে ছিল। কোনো কোনো ব্যবসায়ী সঙ্গে সঙ্গে সেই সুযোগটা নিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কেন?

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সূচনা বক্তব্য দেন সদস্য সচিব আব্দুস ছাত্তার।

এএইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন