• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০১৯, ০২:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৭, ২০১৯, ০২:৪৯ পিএম

পশ্চিমবঙ্গের স্ক্রাব টাইফাস আতঙ্ক, মুর্শিদাবাদে দু’জনের মৃত্যু  

পশ্চিমবঙ্গের স্ক্রাব টাইফাস আতঙ্ক, মুর্শিদাবাদে দু’জনের মৃত্যু  

ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে এখনও পুরোপুরি মুক্ত হয়নি পশ্চিমবঙ্গ। তার মধ্যেই কলকাতাসহ গোটা রাজ্যে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্ক্রাব টাইফাস। পতঙ্গবাহিত এই রোগে এখন পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। চলতি সপ্তাহেই নতুন করে আরও দশজন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

কলকাতা পুরসভার পতঙ্গ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যে পোকাটি স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু বহন করে সেটির নাম মাইট। প্রধানত ইঁদুরের দেহে এই পোকাটি দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজনই মুর্শিদাবাদ জেলার। একজন হুগলি জেলার বাসিন্দা। তবে এই হিসাব সরকারি। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। সর্বশেষ পাওয়া খবরে মুর্শিদাবাদে স্ক্রাব টাইফাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম শ্যামল প্রামাণিক। তার বাড়ি বেলডাঙার কুমারপুর গ্রামে। পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর তার প্রথম জ্বর হয়। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার দেখানো হয়। কয়েকদিন আগে তাকে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেখানেই জানা যায়, তিনি স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত। হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।

এর আগে এই স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় এক স্কুলছাত্রীর। মৃত ছাত্রীর নাম তামান্না ফিরদৌস। দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বাড়ি কান্দি থানার কর্ণসুবর্ণ এলাকায়। তার পরিবার পরিবার সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার জ্বর আর পেটে ব্যথা নিয়ে তাকে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর ডেথ সার্টিফিকেটে মৃত্যুর কারণ হিসাবে স্ক্রাব টাইফাস লেখা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ডেঙ্গি ও স্ক্রাব টাইফাস মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহের বুধবারই জানা গিয়েছিল, স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক ছড়িয়েছে হুগলীর ডানকুনি অঞ্চলেও। পুর-এলাকায় পোকা কামড়ানোর ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। পোকাটি দেখে প্রাথমিকভাবে ট্রমবিকিউট মাইট প্রজাতির বলে অনুমান করেন পতঙ্গবিশারদরা। এই পোকার কামড়েই ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ বা স্ক্রাব টাইফাস হয়। হুগলিতে আক্রান্ত তন্ময় সিমলাই পোকাটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসার পর তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার বেলেঘাটায় আইডি হাসপাতালে। বারবার জ্বর আসছে কিনা, বা শরীরে র‍্যাশ বের হচ্ছে কিনা সেদিকে নজর রাখছেন চিকিৎসকরা।
বস্তুত পাহাড়ে চা-বাগান এলাকায় এই পোকার প্রকোপে স্ক্রাব টাইফাস দেখা যেত। তবে এখন সারা রাজ্যে এই পোকা ছড়িয়ে পড়েছে। বাড়িঘর ও এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এই পোকার উপদ্রব কম হয় বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন।

বিএস