টানা নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির কারণে তৈরি পোশাক রফতানিতে দ্বিতীয় অবস্থান হারানোর শঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ। পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ বলছে, এ বছর যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১২ শতাংশ বাড়ানো সেখানে প্রথম ৬ মাসে উল্টো ১০ শতাংশ কমে গেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ খাতে সুবিধাগুলোর যৌক্তিকতা বিচার করে দীর্ঘমেয়াদী নীতি সহায়তায় জোর দিতে হবে। এ কারণে পোশাকখাতে শঙ্কার মেঘ দেখা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে তৈরি পোশাক রফতানিতে চীনের পরে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। বছরের শুরুতে টার্গেট ছিল, চীন থেকে সরে যাওয়া রফতানি আদেশের বড় একটির অংশ পাবে বাংলাদেশ। কিন্তু পোশাকের রফতানি মূল্য কমে যাওয়া, যুক্তরাষ্ট্রের বেশি রফতানি আদেশ ভিয়েতনামকে দেয়ার মত কারণে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে পোশাক খাত।

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর ৫ বছরে কারখানা কমপ্লায়েন্সে প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন রফতানিকারকরা। কিন্তু রফতানির পরিমাণ বাড়লেও মূল্য বাড়েনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা সুযোগ দেয়া হলেও রফতাকারকরা পণ্য বহুমুখী করেননি।

পোশাক খাতের রফতানি কমে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনও কঠিন হবে বলে মনে করছেন রফতানিকারক এবং বিশ্লেষকরা। এ থেকে উত্তরণে তৈরি পোশাক রফতানিতে কার্যকর প্রণোদনা বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন তারা।

এসএমএম