• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১২, ২০২০, ১১:৪২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১২, ২০২০, ০১:৩৬ পিএম

পেঁয়াজের লাগামহীন দামে নিম্নবিত্তদের নাভিশ্বাস

পেঁয়াজের লাগামহীন দামে নিম্নবিত্তদের নাভিশ্বাস

দরের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের সর্বত্রই অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। গত ৩ মাসে একবারের জন্য স্থির হয়নি এই লাগামহীন দাম। এরপরও বর্তমান বাজার দরে খুশি নন কৃষকরা। তাদের মতে, চড়াদামে বীজ কেনাসহ উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পেঁয়াজের মণ পেঁয়াজ ৪ হাজার টাকার নিচে বিক্রি হলে লোকসানে পড়বেন তারা। অথচ কৃষকের ১১৫ টাকায় বিক্রি করা পেঁয়াজ বিভিন্ন হাত ঘুরে ভোক্তাকে কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়। মাঝখানের ৩৫ টাকা যাচ্ছে আড়ৎদার, পাইকার আর খুচরা ব্যবসায়ীর পকেটে।

এদিকে গত ৩ মাসে কয়েকদফা পেঁয়াজের মূল্য হু হু করে বেড়েছে। এতে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজার মনিটরিংয়ে কেউ না থাকায় এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে ১ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষ হয়েছে ৬২ হাজার ৩২৯ হেক্টর জমিতে। বাজারেও নেই সরবরাহ ঘাটতি। তবুও কমছে না পেঁয়াজের বাজার।

দেশের সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয় পাবনা জেলায়। এ অঞ্চলে এ বছর বাম্পার ফলন হলেও স্থানীয় হাটে কৃষকরা পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১৩০ টাকার মধ্যে। মানিকগঞ্জেও মুড়িকাটা পেঁয়াজের যথেষ্ট চাষ হয়েছে। এ বছর ফলন ভাল না হলেও স্থানীয় হাটে বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে।

পাবনা ও মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকার বাজারে পেঁয়াজ আসতে গাড়ি ভাড়াসহ কেজিপ্রতি খরচ ৫ টাকা। পাইকারের লাভসহ শ্যামবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। তবে খুচরা বাজারে গিয়ে পেঁয়াজের দাম ঠেকছে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি পেঁয়াজ শ্যামবাজার আড়ত থেকে খুচরা বাজারে যেতে দাম বাড়ছে ২৫ টাকা। 

এদিকে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতের পাশাপাশি ভোক্তারা যাতে কম দামে পণ্য কিনতে পারেন সেজন্য সরকারি বিভিন্ন সংস্থার নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ ভোক্তা অধিকার সংগঠন ক্যাবের। বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের হিসেবে দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। উৎপাদন হয় ১৭ লাখ টন। বাকিটা আমদানি করা হয়।

এইচএম/একেএস

আরও পড়ুন