• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০, ১২:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০, ১২:০৯ পিএম

মহাদুশ্চিন্তায় পাথরঘাটার কাঁকড়া চাষিরা

মহাদুশ্চিন্তায় পাথরঘাটার কাঁকড়া চাষিরা
কাঁকড়ার ঘেরের সামনে বিষণ্ণ নারী উদ্যোক্তা পুতুল রানী ● জাগরণ

চীনসহ বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী কভিড-নাইনটিন (করোনোভাইরাস) ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় রফতানির অভাবে কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন বরগুনার পাথরঘাটার কাঁকড়া চাষিরা।

চীনে কাঁকড়া রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় মূল্য নেমে এসেছে শূন্যের কোঠায়। বর্তমানে প্রতিকেজি কাকড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। যা এর আগে বিক্রি হতো ২ হাজার ৫০০ টাকায়।

রফতানি বন্ধ থাকায় মহাদুশ্চিন্তায় কয়েকশত চাষি।  চীন, থাইল্যান্ড, তিউনিশিয়ায় রফতানি হলেও চীনে চলমান স্বাস্থ্য পরিস্থিতি অবনতির কারণে রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় চাষিরা হতাশার মধ্যে দিনানিপাত করছেন। 

উপজেলায় ৫ শতাধিক চাষি প্রায় ১ হাজার ঘেরে কাঁকড়া চাষ করেছেন। গত বছর পাথরঘাটায় প্রায় ৯ হাজার কেজি কাঁকড়া উৎপাদন হয়েছে। ২ হাজার ৫০০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি করে আয় হয়েছিল প্রায় ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। চলতি বছরে উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার কেজি।

উপজেলার চরদুুয়ানি ইউনিয়নের কাঁকড়া চাষি উত্তম মজুমদার জানান, আড়াইহাজার কেজি কাঁকড়া চাষ করছেন তিনি। প্রতিমাসে ৪ লাখ টাকার খাবার দিয়ে তিন মাস ধরে পরিচর্যা করে আসছেন। এখন কাঁকড়া বিক্রির উপযোগী হলেও দাম না থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না।

সাড়ে ৭০০ কেজি কাঁকড়ার চাষ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন নারী উদ্যোক্তা পুতুল রানী। 

ফেজ প্রকল্পের সহকারী ভ্যালুচেইন ফ্যাসিলিটেটর গোলাম মোর্শেদ রাহাত জানান, পাথরঘাটায় প্রায় পাঁচ শতাধিক উদ্যোক্তাদের কাঁকড়া চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে অনেকেই কাঁকড়া চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন। বর্তমানে গোনট পূর্ণাঙ্গ কাঁকড়া বিক্রি করতে না পারায় তাদের কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে।

পাথরঘাটা উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু দৈনিক জাগরণকে বলেন, চাষিদের ধৈর্য ধরে কয়েক দিন অপেক্ষা করতে হবে। মড়কের হাত থেকে রক্ষায় পেতে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, কভিডনাইনটিনের প্রভাবে রফতানি বন্ধ রয়েছে। বাজার সামাল দিতে চীনের বিকল্প দেশের খোঁজ করতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। শিগগিরই একটি সমাধান আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।