• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০, ০৩:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০, ০৩:২০ পিএম

সোমবার টাকা না দিলে গ্রামীণফোনে সরকারি প্রশাসক

সোমবার টাকা না দিলে গ্রামীণফোনে সরকারি প্রশাসক
গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় ● ওয়েবসাইট

সোমবারের মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ না করলে গ্রামীণফোনে সরকারি প্রশাসক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি। এ হুঁশিয়ারি দেন সংস্থার চেয়ারম্যান জহুরুল হক।

বিটিআরসির পাওনা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা আগামী তিন-চারদিনের মধ্যে গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে পরিশোধ করতে আপিল বিভাগের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসি জানায়, এই সময়ের মধ্যে পাওনা পরিশোধ না করলে গ্রামীণফোনে প্রশাসক নিয়োগ করা হবে।

বিটিআরসি প্রধান বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বলে দিয়েছে না দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আইনে যা যা ক্লজ আছে তা করা হবে। ওরা যদি টাকা না দেয় আমরা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করব। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সবচেয়ে যোগ্য, অভিজ্ঞ ও সৎ মানুষকে আমরা অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগ করব।

আপিল বিভাগ গত ২৪ নভেম্বর গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেজন্য তাদের দেয়া হয়েছিল তিন মাস সময়, যা ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। ওই সময় শেষ হওয়ার আগে বিটিআরসিকে ১০০ কোটি টাকা দিয়ে আলোচনা চালু রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল গ্রামীণফোন। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাতে রাজি হয়নি। সে বিষয়টি তুলে ধরে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগে রিভিউ শুনানিতে ছয় মাসের কিস্তিতে ওই দুই হাজার কোটি টাকা পরিশোধের অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত সোমবারের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার ১০০ কোটি টাকা নিয়ে তারা এসেছিল, বলছে যে এটা আমরা শুরু করলাম, বিগিনিং। আমরা বললাম এই বিগিনিংটা যদি আগে শুরু করতেন তাহলে সবার জন্য ভালো হতো। যেহেতু মামলার ব্যাপার, আপিল বিভাগের দুই হাজার কোটি টাকা দেয়ার নির্দেশ আছে, আমরা টাকা নেইনি।

তিনি বলেন, আদালত পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছে সোমবারের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা জমা দিতে হবে। এক হাজার কোটি টাকা জমা দেয়ার পরে কিস্তির কি হয়, না হয় দেখবে। এক হাজার কোটি টাকা দেয়ার পরে আদালত যে আদেশ দেয় সেই আদেশ আমরা মানব বলে জানান তিনি। বলেন, এখন বলটা গেছে কোর্টে, আমাদের কাছে নেই। আমরা অনেকদিন চেষ্টা করেছি আলোচনার জন্য।

প্রশাসকের কাজের বর্ণনা দিয়ে জহুরুল হক বলেন, ওনার কাজ হবে এই ইন্ডাস্ট্রি চালানো। তাদের বেতন-ভাতা যা যা আছে সব দেবে, সব করবে। এরপর টাকা যা বেশি হবে সেই টাকা সরকারের কাছে জমা দেবে। সে টাকা যখন জমা দেয়া শেষ হয়ে যাবে তখন মেয়াদ শেষ হবে।

গ্রামীণফোন এক হাজার কোটি টাকা জমা দিলে এনওসি বন্ধের যে নির্দেশনা তা প্রত্যাহার করা হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে বিটিআরসি প্রধান বলেন, ২৪ তারিখে আদালত কি নির্দেশ দেয়, তার ওপর নির্ভর করবে, এনওসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত ২৪ তারিখেরর পর, টাকা তো ২৪ তারিখের মধ্যে দেবে, কাল তো ব্যাংক বন্ধ, আজ টাকা দেবে কিনা আমি জানি না।

এসএমএম