রোজা শুরু হতে না হতেই চড়া সবজির বাজার।
সন্তোষজনক সরবরাহ থাকা সত্বেও কয়েকগুণ দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এক লাফে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে গেছে কোনও কোনও সবজির দাম। শুধু স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজ। আগের সেই অগ্নিমূল্য নেই পেঁয়াজের। বরং কমেছে ৫-১০ টাকা। আদার দামও বাড়তির দিকে। কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে দেশি রসুনের। এখনও বাড়তির দিকে আমদানি করা রসুনের।
পরিবহন সঙ্কট আর সরবরাহ ঘাটতির অজুহাত বিক্রেতাদের। অথচ ক্রেতাদের অভিযোগ বাড়তি চাহিদা আর ঠিকমত কাঁচাবাজার মনিটরিং না করার সুযোগে দাম বেশি চাইছেন বিক্রেতারা।
কিন্তু বাজারে দেখা গেছে উল্টো চিত্র। কোনও পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি নেই। ঘাটতি শুধু বিক্রেতাদের সততায়। তাদের উদ্দেশ্য রোজার অজুহাতে যতটা পারা যাক মুনাফা কামিয়ে নেয়া যাক। এমনটাই বলেছেন ক্রেতারা।
মেরাদিয়া ভূঁইয়াপাড়ার সোনিয়া আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, দুই দিন আগেও শসা কিনেছি ১০-১৫ টাকা কেজি দরে, আজ (শুক্রবার) সেই শসার দাম হাঁকা হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকা।
কারিমা পপি নামে আরেক ক্রেতা জানালেন, ১২০ টাকার ব্রয়লার মুরগির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৩৫-১৪০ টাকা। তবে কিছুটা সুলভে বিকোচ্ছে ডিম। ডজন ৯০ টাকা। রোকেয়া বেগম নামে এক ক্রেতা জানালেন, এটাই এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ানবাজার থেকে নরসিংদীর বেলাবোর বারৈচা সবজির মোকামের দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়, মাত্র ৭৫ কিলোমিটার। এতটুকু দূরত্বে সবজি বেচাকেনা হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি দামে। ক্ষেত্র বিশেষে তিনগুণ।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) মোকামে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বেগুন বিক্রি করেছেন কৃষকরা। যা রাজধানীর খুচরা বাজারে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।
ঢাকার পাশের এ জেলা থেকে সবজি আনতে পরিবহনের খরচও খুব বেশি নয়। তারপরও নানা অজুহাত পাইকারদের। বলছেন, পণ্য পরিবহনের গাড়ি পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি পণ্যের চাহিদা বেশি থাকায় বেড়েছে দাম।
খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। দু’দিন আগেও তা ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। লেবুর হালি মানভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। যা গেলো সপ্তাহে ছিল ২৫ থেকে ৪০ টাকা।
শাহজাহানপুরের খুচরা বিক্রেতা কামরুল মিয়া জানান, আড়ত থেকে দ্বিগুণ ও তিনগুণ বাড়তি দামে সবজি আনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।
ঝিঙা, চিচিঙ্গা ও করলার দামও বেড়েছে। অন্যান্য সবজির দামেরও একই অবস্থা। তিন দিন আগে প্রতি কেজি টমেটো ছিল ১০ টাকা। এখন তা বেড়ে ২০-৩০ টাকা।
কমবেশি দাম বেড়েছে অন্যান্য ইফতারসামগ্রীর পণ্যেরও।
এসএমএম