• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২০, ১০:২২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৭, ২০২০, ১০:২৩ পিএম

কোভিড-১৯

ঝুঁকির মধ্যেই খোলা হলো ১ হাজার পোশাক কারখানা

ঝুঁকির মধ্যেই খোলা হলো ১ হাজার পোশাক কারখানা
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ● সংগৃহীত

করোনাভাইরাস (কোভিড-২৯) কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তৈরি পোশাক কারখানা চালুর দ্বিতীয় দিনে নতুন আরও কিছু কারখানা উৎপাদনে ফিরেছে।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) অন্তত এক হাজার কারখানায় সীমিত জনবল দিয়ে কাজ হয়েছে।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার স্বার্থে দুই শিফটে কাজ চলছে। প্রতি শিফটে ৩০ শতাংশ শ্রমিক কাজ করছে। তবে বকেয়ার দাবি এবং বিভিন্ন কারণে  শ্রমিকরা কাজ করতে রাজি না হওয়ায় কয়েকটি কারখানায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে।

তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমই এর নিষেধ থাকার পর সোমবারও সারাদেশ থেকে শ্রমিকদের সাভার ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন শিল্প এলাকায় ফিরতে দেখা গেছে। 

এদিকে করোনভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর উদ্যোগের পাশাপাশি  স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কতটুকু চালু করা যায়, তার ওপর সব পক্ষের মতামত নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) এ বিষয়ে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্পের উদ্যোক্তা, শ্রমিক প্রতিনিধি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

উদ্যোক্তারা জানান, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে। চালু প্রায় সব কারখানায় শ্রমিকদের হাত ধোয়ার অস্থায়ী কলের ব্যবস্থা দ্বিগুণ করা হয়েছে। নিরাপদ দূরত্ব মেনে শ্রমিকদের কারখানায় ঢোকানো হচ্ছে। কারখানার ভেতরেও একইভাবে দূরত্ব বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিএমই এর গাইড লাইন কঠোরভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। গাইড লাইনে কারখানায় প্রবেশ মুখে শ্রমিকদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা, কারখানা ভবনের বাইরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা জুতায় জীবাণুনাশক স্প্রে করাসহ বিভিন্ন নিয়ম মানার কথা বলা হয়েছে। পরিচ্ছন্নতার স্বার্থে কারখানায় প্রবেশের আগে জুতা পলিব্যাগে  রেখে একটি নির্দিষ্ট স্থানে (সু র‌্যাক)  রাখা হচ্ছে। এসব স্বাস্থ্য বিধি মানা হচ্ছে কিনা তা তদারক করতে মনিটরিং টিম গঠন করেছে বিজিএমইএ। 

কারখানার আশে-পাশে থাকা শ্রমিকদের নিয়ে সীমিত আকারে গত রোববার থেকে কিছু কারখানা চালু করা হয়। ক্রেতাদের রফতানি আদেশের পণ্য পৌঁছানোর চাপ আছে-এ রকম কারখানা এ অবস্থার মধ্যে খুলে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ।  

বিজিএমইএ এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানা খোলার ক্ষেত্রে শুরুতে উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ শতাংশ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে। তবে রফতানি আদেশের কাজ না থাকা কিংবা কম থাকা কারখানাগুলো সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে মিল রেখে আগামী ৫ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। 

শিল্পাঞ্চল পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, সোমবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত বিজিএমইএ এর সদস্যভূক্ত কারখানা খুলেছে ৭১৮টি । আগের দিন খোলার তালিকায় ছিল ৪৮০টি। বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও বেপজার কারখানা মিলে এক হাজার কারখানা খুলেছে। বেতনভাতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অন্তত ২৯টি কারখানায় শ্রম অসন্তোষের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেতনভাতা ইস্যুতে ১৮টি কারখানায় এবং অন্যান্য ইস্যুতে আরও ১১টি কারখানায় বিক্ষোভ হয়েছে।

এসএমএম

আরও পড়ুন