• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২০, ০৯:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৯, ২০২০, ০৯:০২ পিএম

তবুও কর্মচঞ্চল মোংলা সমুদ্রবন্দর

তবুও কর্মচঞ্চল মোংলা সমুদ্রবন্দর
নিজস্ব ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাবেও কর্মচঞ্চল মোংলা সমুদ্রবন্দর। স্বাভাবিক বন্দরে জাহাজ আগমন-নির্গমনসহ পণ্য আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য। তবে বাল্ক কার্গো (খোলা পণ্য) খালাস-বোঝাই কাজে তেমন কোনও জটিলতা না থাকলেও কিছুটা সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন কনটেইনার পণ্য এবং রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা।

এ অবস্থার মধ্যেও চলতি অর্থবছরে বন্দরের আয় ৩৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছাবে বলে আশাবাদী বন্দর কর্তৃপক্ষ।

সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম মেনে বন্দরে গড়ে প্রতিদিন ১০/১১টি জাহাজ অবস্থান করছে।

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী আমদানিকারক কবির আহম্মেদ জানান, করোনার প্রভাব আরও দীর্ঘায়িত হলে তাদের ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। আর কখনই এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন না তারা।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক ট্রাফিক মোস্তফা কামাল বলেন, সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) এ পর্যন্ত মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৯৯ লাখ ৬১ হাজার টন পণ্য আমাদনি-রফতানি হয়েছে।

এ পর্যন্ত বন্দরের আয় হয়েছে ২৮৩ কোটি টাকা। আর গত অর্থবছরে (২০১৮-২০১৯) আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল ১ কোটি ১৩ লাখ টন পণ্য।

রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি হয়েছিল ১২ হাজার ৬৯৫টি। গেল অর্থবছরে বন্দরের আয় হয়েছিল ৩২৯ কোটি টাকা।

মোংলা বন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুলতান আহমেদ বলেন, বন্দরে বাল্ক কার্গো (খোলা পণ্য) জাহাজের সংখ্যা ও পণ্য আমদানি বাড়লেও কনটেইনার জাহাজের সংখ্যা কমে গেছে। তাই কনটেইনারজাত পণ্য রফতানিতে বিড়ম্বনাসহ আন্তর্জাতিক বাজারেও দেশীয় পণ্যের শিপমেন্ট আগের চেয়ে হ্রাস পাচ্ছে।

বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন লিটন বলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও সুবিধা পায়নি ব্যবসায়ীরা।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শেখ মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রথম ৪ দিন কোনও রেন্ট নেই। সেখানে  মোংলা বন্দরে ৭ দিন কোনও রেন্ট নেই। ২০ ফুট ও ৪০ ফুট কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন রেন্ট ৬ ও ১২ ডলার। মোংলা বন্দরে প্রতিদিন রেন্ট ৩ ও ৬ ডলার। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ও কনটেইনার জট দুটিই আছে।

এসএমএম

আরও পড়ুন