• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২০, ০৪:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১১, ২০২০, ০৪:১৫ পিএম

কোভিড-১৯

বাজারজাতকরণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আম বাগান মালিকরা

বাজারজাতকরণ  নিয়ে দুশ্চিন্তায় আম বাগান মালিকরা
প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। করোনা রোধে সতর্কতা হিসেবে বাইরে থেকে সেখানে যাচ্ছেন না পাইকাররা।

স্বাভাবিকভাবে আমের বেচাকেনা না হলে বিপুল পরিমাণ লোকসানের আশঙ্কা চাষিদের।

দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন বাগানে কিছুদিনের মধ্যেই পাকতে শুরু করবে আম। অন্যান্য বছর এই সময়ে বাগানগুলোতে থাকতো ব্যবসায়ীদের আনাগোনা। শুরু হয়ে যেতো আম বাজারজাত করার প্রস্তুতিও। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের কারণে দেখা যাচ্ছে না সেই চিত্র। পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কায় আম কিনতে যাচ্ছেন না পাইকাররা।

ব্যবসায়ীদের হিসাবে বছরে কমপক্ষে হাজার কোটি টাকার আম বিক্রি হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। কিন্তু এবার পরিবহন সঙ্কটে সঠিকভাবে বাজারজাত করা না গেলে পুঁজি হারানোর আশঙ্কা করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

একজন বাগান মালিক জানান, এই আমটা সারা বাংলাদেশ যায়। লোকাল মার্কেটে এত আম বিক্রি হবে না। তখন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। আমরা আম বিক্রি করতে পারবো না, আম পচে নষ্ট হবে। কেউ কেউ লোন তুলে বাগান কিনেছে আমরা পরিশ্রমের সব টাকা বাগানে লাগিয়েছি আমার নিঃস্ব হয়ে যাবো। লকডাউন যদি না ছুটে তাহলে এতটাকা দিয়ে বাগান কিনেছি আমাদের লোকসান হয়ে যাবে।

কৃষি বিভাগ বলছে, বাজারে আমের সরবরাহ ঠিক রাখতে পাইকারদের যাতায়াত নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, বাইরের জেলার ব্যবসায়ীরা যাতে আসতে পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিদের ছাড়পত্র দেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ট্রাক মালিকদের বলে দেয়া হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আম নিয়ে গেলে কোথায় তাদের বাধার সৃষ্টি করা হবে না।

জেলায় বর্তমানে ৩৩ হাজার হেক্টর বাগানে আড়াই লাখ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।

এসএমএম

আরও পড়ুন