• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২০, ০৪:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৪, ২০২০, ০৪:৪৬ পিএম

আয় কমে যাওয়ায় আমানত ভেঙে খাচ্ছেন অনেকেই

আয় কমে যাওয়ায় আমানত ভেঙে খাচ্ছেন অনেকেই

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে উপার্জন না থাকায় সঞ্চয়পত্রের আমানত টাকা তুলে নিচ্ছেন অনেক গ্রাহকরা। পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে এই সঙ্কট আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন অনেক বিশ্লেষকরা। এই অবস্থায় সঞ্চয়পত্রের সুদের হার ঠিক রেখে গ্রাহকদের টাকা প্রাপ্তির নিশ্চিয়তা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।

একটি ব্যাংকে বসে আছেন রহিম মিয়া। তিনি কম্পিউটার অপারেটরে পদে বিটিএমসি থেকে অবসরে গেছেন কয়েক বছর আগে। উপার্জন না থাকায় সঞ্চয়পত্রের আয় আর দুই মেয়ের সহায়তা চলছিলো সংসার। তবে করোনাভাইরাসের কারণে মেয়েরা তেমন সাহায্য করতে পারছে না। দুইটি সঞ্চয়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে একটির আমানত তুলে নিয়েছেন।

রহিম মিয়া বলেন, খুব সমস্যার মধ্যে আছি। যে টাকা পাবো তা দিয়ে কোনও রকম করে সংসার চলবে। এভাবে সঞ্চয়ের টাকা তুলে নিয়েছেন অনেকে। ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রের শাখার সামনে মানুষের দীর্ঘ লাইন।

গ্রাহকেরা বলছেন, আয় কমে যাওয়ায় আমানত তুলে নিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

এক গ্রাহক বলেন, কোনও কিছু মিল করতে পারছি না। সংসার চালানো মুশকিল। একদিকে করোনাভাইরাস অন্যদিকে মূল্য বৃদ্ধি।

আরও এক গ্রাহক বলেন, হাট-বাজার করতে হবে এবং বাসা ভাড়া দিতে হবে। এমন করে চলা যায় না। না খেয়ে তো থাকলে হবে না। এজন্য আমানতের টাকা তুলে নিচ্ছি।

সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে মার্চ মাসে তুলে নেয়া হয়েছে ৪৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র। এপ্রিল মাসে তোলা হয়েছে ১১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মানুষ আতঙ্কে সঞ্চয়পত্র তুলে নিতেন পারেন বলে মনে করছেন ব্যাংকররা।

সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নূরুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের অনেক দিন হলো। লকডাউনের পূর্বে মানুষ সঞ্চয়পত্র বেশি তুলে নিয়েছে। এপ্রিল মাসে তুলনামূলক কম তুলে নিয়েছে।

তবে গ্রাহকদের অনিশ্চিয়তা দূর করে আস্থা তৈরিতে ব্যাংকগুলোকে কাজ করার তাগিদ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এফডিআর বা যাদের মেয়াদী সঞ্চয়পত্র আছে সেগুলো ভেঙে ফেলেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অনেকে টাকা উত্তোলন করেছে। প্রথমত তাদের টাকার প্রয়োজন। ব্যাংক বন্ধ ছিল। সামনে সবার অনিশ্চিয়তা আছে কবে ব্যাংক খুলবে।

আমানতের সুদের হার কমানোর পরামর্শ বিশ্লেষকদের। ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

আরও পড়ুন