• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২০, ১১:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১২, ২০২০, ১১:৫৯ পিএম

‘গতানুগতিক ধারার বাজেট এটা নয়’

‘গতানুগতিক ধারার বাজেট এটা নয়’
অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ● সংগৃহীত

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘মানুষকে রক্ষা করার’ বাজেট হিসেবে বর্ণনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেই সাথে অর্থনীতিবিদদের করা মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছেন, এ বাজেট ‘গতানুগতিক’ ধারার বাজেট নয়।

শুক্রবার (১২ জুন) বাজেট-পরবর্তী অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। এতে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এবং কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকও অংশ নেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড, মসিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থসচিব আবদুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মোহাম্মদ রহমাতুল মুনিম, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম প্রমুখ যুক্ত হন।

প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার কথা উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল দেশের মানুষকে বাঁচাতে ধনী ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) দেশে আর বেশি দিন থাকবে না এবং আমরা আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করতে পারব। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দেশের মানুষদের প্রথমে আমাদের বাঁচাতে হবে। এখন আমাদের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে এবং আরও অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। কেননা কোভিড-১৯ এর প্রভাবের কারণে অনেকে তাদের চাকরি হারিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সংসদে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন মন্ত্রী। এতে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, নন-এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ১৫ হাজার কোটি টাকা, আর নন-ট্যাক্স আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধিারণ করা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের পরে কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমরা নতুনভাবে কৃষি খাত তৈরি করতে চাই। মূলত, দেশে খাদ্য সরবরাহ এবং কর্মসংস্থান তৈরি করতে আমাদের বিপুল পরিমাণের অর্থের প্রয়োজন হবে।

মুস্তফা আরও কামাল বলেন, আমরা বিগত বছরগুলোতে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে করতে পেরেছি। তাই আশা করি এ বছরও আমরা জিপিডি প্রবৃদ্ধি পাব। ঐতিহ্যগতভাবে আমরা ৪৯তম বাজেট ঘোষণা করেছি। তবে, কোভিড-১৯ এর কারণে এ বছরের বাজেট অন্যান্য বছর থেকে আলাদা। এছাড়াও প্রস্তাবিত বাজেটের সঠিক তথ্য না পাওয়ায় বাজেট ঘোষণার আগে আমাকে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

পুঁজিবাজার প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজার গতিশীল করতে কাজ করা হচ্ছে। এর গভীরতা বাড়াতে নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমরা পুঁজিবাজার চাঙা করতে যে উদ্যোগ নিয়েছি সচারাচর এমন উদ্যোগ নেয়া হয় না।

মুস্তফা কামাল বলেন, করোনার কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেটাকে কাজে লাগানোর জন্য এবারের বাজেটে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর রেয়াত ও কর আইন সহজ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে ১৭টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত আছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব অঞ্চলে এবার বড় আকারে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে, যা নতুন কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

এসএমএম

আরও পড়ুন