শুধু পণ্য বিক্রির বাণিজ্যিক প্রচরণা নয়, সেই সঙ্গে গ্রাহকের ভাগ্য বদলের সুবর্ণ সুযোগ দিতেই দেশব্যাপি শুরু হয় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেক্ট্রোনিকস পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। আর সেই 'লাকি সেভেন' ক্যাম্পেইনেই ভাগ্য খুললো- দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ে অফিস সহকারি পদে কর্মরত রণজিত চন্দ্র রায়ের।
সীমিত আয়ের মানুষের প্রয়োজন ও ছোট ছোট প্রাপ্তির প্রত্যাশা পূরণে সহজ কিস্তিতে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিক্রি করে থাকে ওয়ালটন। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর প্রয়োজনে রণজিত চন্দ্র রায় নামের এই সীমিত আয়ের মানুষটি তার সামান্য সঞ্চয়ের পুঁজি হাতে গিয়েছিলেন- কিস্তিতে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ কিনতে। কিন্তু সেই ফ্রিজই হয়ে ওঠে আলাদীনের যাদুর চেরাগ। চলমান অফারে ১০ লাখ টাকা জিতে রণজিত হয়ে ওঠেন মিলিয়োনিয়ার।
এ প্রসঙ্গে রণজিত বলেন তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কাস্তোর গ্রামে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় খানসামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ে ২০১৬ সাল থেকে চাকরি করেন। থাকেন খানসামার আলোকধারী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে। ঘরে তার স্ত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা। তার গৃহস্থালি কাজের সুবিধার জন্য গত ৬ জুলাই ‘সনিট্রন ইলেকট্রনিক্স’ থেকে ১৮ হাজার টাকা জমা দিয়ে কিস্তিতে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজটি কেনেন তিনি। এরপর মোবাইল নম্বর দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই ওয়ালটনের পক্ষে থেকে রণজিতের মোবাইলে চলে যায় ১০ লাখ টাকা জয়ের একটি বার্তা।
কিস্তিতে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের কেনা ফ্রিজটিই হয়ে ওঠে আলাদীনের যাদুর চেরাগ। আর তাতেই চলমান অফারে রণজিত হয়ে ওঠেন মিলিয়োনিয়ার!
অবিশ্বাস্য এই প্রাপ্তিতে আবেগাপ্লুত রণজিত বলেন, মেসেজ দেখে প্রথমে বিশ্বাস করি নাই। পরে শোরুম থেকে ফোন করে জানালে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি। ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা। গ্রামে বাবা-মা এবং ৪ ভাই-বোন থাকে। তাদের জন্য একটা পাকা বাড়ি তৈরির স্বপ্ন ছিলো। ওয়ালটন থেকে পাওয়া এই টাকা দিয়ে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হবে।
রোববার (১২ জুলাই, ২০২০) খানসামা বাজারে ওয়ালটন শোরুম ‘সনিট্রন ইলেকট্রনিক্স’-এ আনুষ্ঠানিকভাবে রণজিতের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলোকধারী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আ.স.ম আতাউর রহমান বাচ্চু, ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান হেলাল, ওয়ালটনের ডেপুটি অপারেটিভ ডিরেক্টর শরফুদ্দীন আহমেদ, রংপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার শাহেদ ইকবাল, শোরুমের স্বত্ত্বাধিকারী আলমগীর জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-সেভেন। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ টাকা। রয়েছে লাখপতি হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। এ সুযোগ থাকছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। এর আগে সিজন-সেভেনে ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী, নওগাঁর গামছা বিক্রেতা সোলায়মান হক এবং রাঙ্গামাটির মুরগির খামারি চাইথোয়াইঅং মারমা।
জানা গেছে, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা পাবেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ারসহ নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে।
এসকে