• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০, ১২:৪১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০, ১২:৪১ এএম

পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি

আগাম সতর্কতায় গা করেননি কেউ

আগাম সতর্কতায় গা করেননি কেউ

পেঁয়াজের দামের প্যাঁচে পড়ে নাভিশ্বাস এখন সাধারণ মানুষের। অথচ ভারতে পণ্যটির দাম বাড়া নিয়ে দু’সপ্তাহ আগেই সরকারের উচ্চ মহলকে সতর্ক করেছিল কৃষি বিপণন অধিদফতর।

ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করে অনুরোধ জানানো হয়েছিলো দাম না বাড়ানোর। কিন্তু গা করেনি কেউ। এমনই দাবি কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালকের।

দেশীয় উৎপাদন আর আমদানি মিলে দেশে পেঁয়াজের যোগান ৩৪ লাখ টন। ব্যবসায়ী ও সরকারের গুদামে যার মজুদ আছে ৫ লাখ টন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মজুতদ মিটবে আগামী আড়াই মাসের চাহিদা।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের হিসাবে, ১ কেজি পেঁয়াজ আমদানিতে খরচ হয় মাত্র ২৫ টাকা। পোস্টহার্ভেস্ট লস ৩০ শতাংশ হলে মোট খরচ দাঁড়ায় ৩০ টাকা। সরকারের নির্দেশনা আছে ৪০ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রির।

কিন্তু হঠাৎ ভারতের রফতানি বন্ধ ঘোষণায় পেঁয়াজের দাম উঠেছে ১০০ টাকা পর্যন্ত।

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, শুধু অব্যবস্থাপনার সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে। ফলে ভোগান্তিকে ভোক্তারা, বিব্রত সরকারও।

যদিও কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলছেন, ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ার বিষয়টি ২ সপ্তাহ আগেই সরকারের উচ্চ মহলকে জানানো হয়েছিলো।

এমনকি পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম না বাড়ানোর জন্য গেলো ৭ সেপ্টেম্বর আমদানিকারকদের নিয়ে বৈঠকও করে সংস্থাটি।

জনবল সংকটে বাজারে লাগাম টানতে কোনও ভূমিকা রাখতে পারছে না কৃষি বিপণন অধিদফতর। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর( এক সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের দায় স্বীকার না করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পাল্টা দোষ দেন ভোক্তাদের।

কেএপি

আরও পড়ুন