• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২১, ০১:৫৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০২১, ০২:০৩ এএম

লাভের ধারায় এমজিএমসিএল

লাভের ধারায় এমজিএমসিএল
ফাইল ছবি

একের পর এক লোকসান গোনার পর এবার লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে দেশের একমাত্র পাথর খনি মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি (এমজিএমসিএল)। পরিচালনার ১৪ বছরের মধ্যে ১২ বছরই লোকসানে ছিল কোম্পানিটি। সেই ধারা কাটিয়ে গত দুই বছর ধরে লাভ করছে।

এই তথ্য জানা গেছে পেট্রোবাংলা সূত্রে। 

সূত্র জানায়, প্রথম ১২ বছরে কোম্পানি লোকসান দিয়েছে ৫৬৫ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো লাভ করে ১১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। এরপর ২০১৯-২০ অর্থবছরে লাভ বেড়ে হয়েছে ২২ কোটি টাকা। আশা করা হচ্ছে চলতি অর্থবছরে অর্ধশত কোটি টাকা লাভ হতে পারে।

কোম্পানি কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) না থাকলে লাভের অঙ্ক আরও বেশি হতো। খনি থেকে পাথর উত্তোলনের দায়িত্বে রয়েছে বেলারুশের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি)।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, দেশব্যাপী পাথরের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় জিটিসি তাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে। মহামারীতেও শতাধিক দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীসহ ৭৫০ শ্রমিক খনিতে তিন শিফটে কাজ করছেন।

বর্তমানে মধ্যপাড়া পাথর খনি থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশের সব মেগা প্রকল্পে পাথর সরবরাহ করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জরিপ অধিদফতর (জিএসবি) ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সালে দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়া এলাকায় ১২৮ মিটার গভীরতায় কঠিন শিলা আবিষ্কার করে। ১৯৭৬-৭৭ সালে এর সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা করে কানাডার এসএসসি। অস্ট্রেলিয়ার গ্রাউন্ড ওয়াটার কোম্পানি ১৯৮৪-৮৫ সালে হাইড্রোজিওলজিক্যাল সমীক্ষা চালায়। এরপর ১৯৯৪ সালের মার্চে খনি উন্নয়নের জন্য উত্তর কোরিয়ার মেসার্স কোরিয়া সাউথ কো-অপারেশন করপোরেশনের (নামনাম) সঙ্গে একটি চুক্তি করে সরকার। কিন্তু চুক্তির পর নামনাম সেভাবে খনির উন্নয়ন করতে পারেনি।

শেষপর্যন্ত ২০০৭ সালের মে মাসে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পাথর উত্তোলন শুরু করে এমজিএমসিএল। শুরুতে এক শিফটে প্রতিদিন পাথর উত্তোলন করা হতো ৩০০-৪০০ টন। ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর খনি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পায় বেলারুশের কোম্পানি জিটিসি। কিন্তু নানা জটিলতায় তিন বছর খনির উন্নয়ন কাজ বন্ধ ছিল। পরে ২০১৬ সালে জিটিসি পাথর উত্তোলনের কাজ শুরু করে।

মধ্যপাড়া পাথর খনির একজন কর্মকর্তা বলেন, করোনার কারণে কিছুদিন কাজ বন্ধ থাকলেও এখন তিন শিফটে পাথর উত্তোলনের কাজ চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কর্মী কাজ করছে।

জাগরণ/এমএ