• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২১, ১১:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০২১, ০৫:৪৪ পিএম

৯ মাস পর ফের শুরু কাঁকড়া রফতানি

৯ মাস পর ফের শুরু কাঁকড়া রফতানি
প্রতীকী ছবি

দীর্ঘ ৯ মাস বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হলো কাঁকড়া রফতানি। মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালক নিয়াজ উদ্দিন জানান, চীনের দেয়া বেশকিছু শর্ত পূরণের পর ২ জুন থেকে নতুন করে রফতানি শুরু হয়েছে।

নতুন করে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভুক্ত করেছে চীন। এর মধ্যে চীনে পাঠানো হয়েছে কাঁকড়া ও কুচিয়ার ৩৪টি চালান।

মৎস্য অধিদফতরের উপপরিচালক জানান, রফতানি করা কাঁকড়া ও কুচিয়ায় সীসা ও ক্যাডমিয়াম ধরা পড়ার পর ২০২০ সালের জুনে চীন কিছু শর্ত আরোপ করে। তখন মৎস্য অধিদফতরের ল্যাবরেটরি থেকে পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট ইস্যু করার মাধ্যমে রফতানি সচল করা হয়। পরে সেপ্টেম্বরে এক রফতানিকারক জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ধরা পড়ার পর রফতানি আবার বন্ধ হয়। বিএম ট্রেডার্সকে এ জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

ঢাকার সাভার, চট্টগ্রাম ও খুলনায় মৎস্য অধিদফতরের তিনটি ল্যাবরেটরিতে নতুন প্রযুক্তি স্থাপনের মাধ্যমে ১২/১৩টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর এখন রফতানির সার্টিফিকেট দেয়া হচ্ছে। আগে চীনের এ ধরনের টেস্ট রিকোয়ারমেন্ট ছিল না। ফলে কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ছাড়াই যে কেউ চায়নায় কাঁকড়া ও কুচিয়া রফতানি করতে পারতেন।

তাদের নতুন শর্ত অনুযায়ী, ইংরেজি ও চীনা ভাষায় এখন সার্টিফিকেট দিতে হচ্ছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান বলেন, চীনের পক্ষ থেকে কিছু সার্টিফিকেট চাওয়া হয়েছিল। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে এখন আর রফতানিতে বাধা নেই।

করোনা মহামারির শুরুর দিকেই চীনে কাঁকড়া রফতানির বাজারে ধস নামে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হিসাবে, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলারের কাঁকড়া রফতানি হলেও পরের বছর ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তা ১২ মিলিয়ন ডলারে নামে।

হংকং, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, জাপান, মালয়েশিয়াসহ আরও কিছু দেশে কাঁকড়া রফতানি হলেও মূল বাজার চীন।

চীনের বাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার প্রভাবে সামগ্রিক রফতানি ৫০ শতাংশ কমে যায়।

জাগরণ/এসএসকে/এমএ