যৌক্তিক কারণ ছাড়াই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
বন্যা, ভারতীয় পেঁয়াজ কম আসা এবং দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সরবরাহ বাজারে কম থাকায় দাম বাড়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
যশোরের স্থল বন্দর বেনাপোলের সবজির বাজারগুলোতে গত তিনদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ২০টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজ ৩২ টাকা থেকে বেড়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায় এসে দাঁড়িয়েছে।
দেশি পেঁয়াজ ৪২ টাকা থেকে বেড়ে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। সম্প্রতি ভারতের কয়েকটি প্রদেশে বন্যার করণে বিভিন্ন স্থল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমে গেছে।
বাজারে দেশি পেঁয়াজেরও ঘটতি রয়েছে বলে দাবি আমদানিকারকদের।
একই অবস্থা দিনাজপুরের হিলি স্থল বন্দরের পেঁয়াজের বাজারে। তবে দাম বাড়ার ব্যাপারে যৌক্তিক কোন কারণ দেখাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা।
বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হিলি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রতিযোগিতা রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরেও। ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ‘অধিক বৃষ্টিপাত এবং আমদানি করা পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় কিছুটা অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে পেঁয়াজের বাজারে।’
করোনার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে আগের তুলনায়। তবে এখানেও আমদানিকৃত পেঁয়াজে গত দু’দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি বেড়েছে ৬ থেকে ৭ টাকা।
জাগরণ/এমএ