• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১, ১২:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৬, ২০২১, ১২:১৭ পিএম

ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে গরম পেঁয়াজের বাজার

ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে গরম পেঁয়াজের বাজার
সংগৃহীত ছবি

একদিনের ব্যবধানে বুধবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম আরও ১০ টাকা বেড়েছে।

আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা। গত এক সপ্তাহের হিসাব ধরলে দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। 

হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, প্রতি বছর দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় তা দিয়ে চাহিদা মেটে না। চাহিদার একটি বড় অংশ আমদানি করে মেটাতে হয়।

ভারতে বিভিন্ন প্রদেশে অতিবৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হয়েছে। এতে বুকিং রেট বাড়ায় দেশে আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ছে।

তবে ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর এই অজুহাত মানতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলেছে, প্রতি বছর দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৮ লাখ টন।

এরমধ্যে দেশে উৎপাদন হচ্ছে ৩৩ লাখ টন। সংরক্ষণের অভাব সহ বিভিন্ন কারণে ৩০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হলেও বাকি থাকে ২৩ লাখ টন।

প্রতি বছর ৮ থেকে ১০ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ফলে চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ সবসময় উদ্বৃত্ত থাকে। তাই হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনও কারণ নেই।

সূত্র বলেছে, ভারত, মিয়ানমারসহ অন্যান্য যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে, সেসব দেশ পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করেনি। বড় কোনও সমস্যাও নেই। তাহলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৫ থেকে ২০ টাকা বাড়ার কারণ সিন্ডিকেটের কারসাজি ছাড়া কিছুই নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজধানীর কারওরানবাজার ও নিউমার্কেট সহ বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ও আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সাপ্তাহ আগে এই পেঁয়াজ বিক্রি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়।

জাগরণ/এমএ