• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৪, ২০২১, ১২:২৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৪, ২০২১, ১২:২৪ এএম

টিসিবির পণ্য কিনতে হাহাকার

টিসিবির পণ্য কিনতে হাহাকার
টিসিবি খোলা ট্রাকে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড় ● সংগৃহীত

বাজারে নিত্যপণ্যের আগুন দাম। তাই টিসিবি খোলা ট্রাকে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। বাজারে প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়লেও মানুষের আয় বাড়েনি। 

বরং করোনায় আয় কমেছে বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের। এই অবস্থায় প্রয়োজনের সাথে আপোষ করেই টিকে থাকতে হচ্ছে অনেককে। 

পরিবারে পাঁচ সদস্য নিয়ে মোহাম্মদপুর বেড়ি বাঁধের এক নারী গুণে গুণে পাঁচ টুকরা মাছ রান্না করছেন। অথচ দুই মাস আগেও মাছ কিনতেন এক কেজি। এখন আধা কেজিতে তাকে প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। 

নিম্নবিত্ত ও নিন্ম মধ্যবিত্তের মানুষরা প্রয়োজনের সাথে আপস করলেও দেশে নিত্যপণ্যের যোগান বা উৎপাদন কোনটাতেই কোন ঘাটতি নেই।  

২০২০-২০২১ সালে মাছের উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪৬ লাখ মেট্রিক টন। পেঁয়াজের উৎপাদন ৩৩ লাখ ৬৩ হাজর মেট্রিক টন। অথচ চাহিদা ২৬ লাখ মেট্রিক টন। শাক-সবজির উৎপাদন এক কোটি ৯৭ লাখ এক হাজার টন। আলুর উৎপাদন এক কোটি ছয় লাখ টন। কিন্তু চাহিদা ৮০ লাখ মেট্রিক টন।  

সরকারি হিসাবে সব নিত্যপণ্যের উৎপাদনই চাহিদার চেয়ে বেশি। অথচ বাজারে দাম আকাশ ছোঁয়া। যার কোন হিসাব মিলছে না। 

এই অবস্থায় টিসিবির খোলা ট্রাকে স্বস্তি খুজছে মানুষ। সেখানেও চার থেকে পাঁচ ঘন্টা অপেক্ষার পর দেখা মিলছে টিসিবির ট্রাকের। 

লাইনে দাড়ানো এক নারী তিন মাসের শিশু সন্তান বাসায় রেখে এসেছেন টিসিবির পণ্য কিনতে।

জানালেন, আয় বাড়েনি কিন্তু সঙ্কট দিন দিন বাড়ছে। 

টিসিবির স্বল্প পরিমাণ পণ্যতে অনেকেরই আবার প্রয়োজন মিটছে না। পরিমাণ কম, তাই খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে অনেক ক্রেতাকে। তাই টিসিবির ট্রাকে পণ্যের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ক্রেতারা। 

জাগরণ/এমএ