বাংলাদেশ থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মী নিতে সমঝোতা স্মারক সই করতে একমত হয়েছে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া।
বুধবার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে এ কথা জানান প্রবাসী কল্যাণ সচিব মনিরুস সালেহিন।
জি-টু-জি প্লাসের আওতায় নতুন কর্মীই শুধু নয়, অনিয়মিতদের নিয়মিত করার প্রস্তাবও থাকবে এই সমঝোতা স্মারকে।
মালয়েশিয়াতে প্রবাসী কর্মীদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে বাংলাদেশ। দেশটিতে কৃষি, নির্মাণ সহ সব খাতেই রয়েছে বাংলাদেশি বৈধ এবং অবৈধ শ্রমিকদের প্রাধান্য।
২০১৮ সালে মালয়েশিয়ার সাথে করা জিটুজি প্লাস স্থগিত হবার পর কাজের জন্য দেশটিতে সরাসরি যেতে পারেনি কোনও বাংলাদেশি।
গেল ফেব্রুয়ারিতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তা বাড়ানো হয় দুই দেশের মধ্যে। কিন্তু কোনও এজেন্সি কাজ পাবে আর কে পাবে না তা নিয়ে আটকে যায় মালয়েশিয়াতে কর্মী যাওয়া।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, নির্মাণ, ক্লিনিং, প্লান্টেশনের মতো কিছু সেক্টর আছে, যেগুলোতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ করতে চায় মালয়েশিয়া।
গেলো সপ্তাহে, টানা প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও বাংলাদেশের জন্য শ্রমবাজারের দ্বার উন্মুক্ত করার ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া।
মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে বহু অভিবাসী শ্রমিক কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। তাদেরও কাজের সুযোগ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়।
জাগরণ/এসএসকে