• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২১, ১২:৩৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০২১, ০৬:৩৬ এএম

জিআই সনদ পাচ্ছে ফজলি ও বাগদা চিংড়ি

জিআই সনদ পাচ্ছে ফজলি ও বাগদা চিংড়ি
সংগৃহীত ছবি

এবার ফজলি আম এবং কালো ডোরা কাটা বাগদা চিংড়ি খুব শিগগিরিই জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেটর বা জিআই সনদ পেতে যাচ্ছে। ফজলি আমের জিআই সনদের আবেদন করেছিল ফল উন্নয়ন গবেষণা কেন্দ্র। বাগদা চিংড়ির জন্য আবেদন করে মৎস্য অধিদফতর।  

সরকারের প্যাটেন্টস, ডিজাইন এবং ট্রেডমার্ক বিভাগের রেজিস্টার আবদুস সাত্তার জানান, ফজলি আম ও বাগদা চিংড়ির জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে গেজেট প্রকাশ করা হয়ে গেছে। ১৫ দিনের মধ্যে সনদ দেয়ার কাজ শেষ হবে।  

জিআই সনদ দেয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু দিক লক্ষ্য করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে-আবহাওয়া, মাটি, পানি ও ভৌগোলিক গঠনের ওপরে যেকোনো কৃষি পণ্যের বৈশিষ্ট্য, ঘ্রাণ ও স্বাদ নির্ভর করে এবং নির্দিষ্ট অঞ্চলেই সেটা হবে।  

যেমন এশিয়ার বেশ কিছু দেশে ‘ব্ল্যাক টাইগার শ্রিম্প’ বা ‘বাগদা চিংড়ি’ পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের এখানে যেটা হয় সেটার বৈশিষ্ট্য অন্য কোনটার সাথে মিলবে না। অন্য কোথাও চাষ হলেও সেটার স্বাদ ও ঘ্রাণ মিলবে না।

নিয়ম অনুযায়ী স্বীকৃতির জন্য আবেদন আসার পরে এই দুটি কৃষি পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক যাচাই করা হয়েছে, দুটি জার্নাল প্রকাশ করা হয়েছে। এই পণ্যের নির্দেশক নিয়ে এখনও কেউ আপত্তি করেনি। জার্নাল প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে এটি নিজেদের বলে কেউ আপত্তি না করলে সনদ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

জিআই সনদ পেলে সেই পণ্য দেশটির ব্র্যান্ড হয়ে যায়। পণ্যটি উৎপাদন করার অধিকার এবং আইনি সুরক্ষা পায়। অন্য দেশ আর সেগুলোকে নিজেদের বলে দাবি করতে পারে না। আর এতে করে বিশ্ববাজারে এর চাহিদা ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে। ফলে দামও ভালো পাওয়া যায়।  

বাংলাদেশের মোট ৯টি পণ্য এ পর্যন্ত জিআই সনদ পেয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ইলিশ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আম, দিনাজপুরের কাটারিভোগ ও বাংলাদেশি কালোজিরা, জামদানি, ঢাকাই মসলিন, রাজশাহীর সিল্ক, রংপুরের শতরঞ্জি এবং নেত্রকোনার বিজয়পুরের সাদা মাটি।

জাগরণ/এসএসকে